ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

অভিমত ॥ মানবতার সেবাই যাদের মূল লক্ষ্য

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

অভিমত ॥ মানবতার সেবাই যাদের মূল লক্ষ্য

২৩ আগস্ট ভোররাত ৪টা ২০ মিনিটে (সম্ভবত) বুকের মধ্যে অস্বস্তি বোধ হয়। বুকে খুব কষ্ট হয়নি, তবে ঘেমে-নেয়ে উঠেছিল, শরীর একেবারে অসারতায় চলে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল আর হাতে একেবারেই সময় নেই পৃথিবীকে দেয়ার। ছোট দুই ভাই ও এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হৃদরোগের আলামত পেলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। যথারীতি ইঞ্জেকশনের কোর্স শেষ করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাতদিন পর বাসায় ফিরলাম। শুরু হলো উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের জন্য নারায়না হৃদয়ালয় যাওয়ার প্রস্তুতি এবং গত ১৪ অক্টোবর বিশ্বের অন্যতম সেরা হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র ব্যাঙ্গালুরুর নারায়না হেলথ সিটির নারায়না ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের উদ্দেশে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে গেলাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যিনি মানবসেবার কাজে লাগিয়ে নিজেই হয়ে উঠেছেন একজন কিংবদন্তি, সেই ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল। উপমহাদেশের আলোচিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন বলা হয় ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীকে। বিশ্বের সেরা কয়েকজন সার্জনের একজন তিনি। আমাদের দেশেও তিনি বেশ পরিচিত। ভারতের কর্নাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালুরু সিটি থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে নারায়না হেলথ সিটির নারায়না হৃদয়ালয় বিশ্বের অন্যতম প্রধান কার্ডিয়াক হাসপাতাল। নারায়না হৃদয়ালয় প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট দক্ষিণ ভারতে জন্ম নেয়া দেবী শেঠী ১৯৮২ সালে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর ইংল্যান্ড থেকে সার্জারি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে লন্ডনের উচ্চাভিলাষী চাকরির লোভ ত্যাগ করে ভারতে ফিরে আসেন। ডাঃ রায়ের সঙ্গে তিনি কলকাতায় ভারতের প্রথম হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য ‘বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার’ নামে হাসপাতাল গড়ে তোলেন। কিন্তু ভারতীয়দের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ইউরোপিয়ানদের তুলনায় তিনগুণ বেশি হওয়ায় এই একটি হাসপাতাল যথেষ্ট ছিল না। এজন্য ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী ও ডাঃ রায় মিলে আরও তিনটি হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলেন । বিএম বিড়লা হার্ট সেন্টার যাত্রা শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই ভারতের শ্রেষ্ঠ হার্ট হাসপাতালের একটিতে পরিণত হয়। ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী নামক মহাগুণী এই ব্যক্তি ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত চার হাজার শিশুর সফল হার্ট সার্জারি সম্পন্ন করেন। লন্ডনের গাইস হাসপাতলে হার্ট সার্জন হিসেবে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়া ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীকে বন্ধুরা বলতেন ‘অপারেটিং মেশিন’। বিএম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার স্থাপনের পরই উদ্যোক্তারা শিশুদের জন্য পেডিয়াট্রিক সার্জিক্যালের ব্যবস্থা করেন এবং অল্প দিনের মধ্যে ৭ দিন বয়সী এক শিশুর সফল ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন হয়। ভারতে সে সময় হৃদপি-ে সাফল্যজনকভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়া শিশুদের মধ্যে তার বয়সই ছিল সবচেয়ে কম। তিনি কলকাতার বিএম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারে দীর্ঘদিন কর্তব্যরত ছিলেন। এক দরিদ্র রোগীর ওপেন হার্ট সার্জারির চার্জ মওকুফ নিয়ে কর্তৃপক্ষের আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ হন। তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তাকে ফোন করে পশ্চিমবঙ্গ না ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে হার্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় তিনি সরকারীভাবে জমি বরাদ্দের প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে সে সময় পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়ায় ব্যাপক ঝড় উঠেছিল। তিনি ব্যাঙ্গালুরু ফিরে যান। ২০০১ সালে নারায়না হৃদয়ালয় নামে বিশ্বমানের এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে মানবতার সেবায় নিজেকে নিবেদন করেন। মানবতার সেবায় ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী মানবতাবাদী ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীর রয়েছে এক অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তি। সাক্ষাতপ্রার্থী রোগীরা যখন তার ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেন তখনই অনেকের মতো আমারও মনে হয়েছিল আমার হৃদরোগ সেরে গেছে। তার সামনে গেলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়। তাই ভারতীয় রোগীদের নিকট তিনি সাক্ষাত দেবতা। তাই তো রোগী ও তাদের স্বজনরা তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। হার্ট অপারেশনের রোগীরা যে যা দিতে পারেন তাই নিয়ে তিনি যথার্থ চিকিৎসাসেবা দেন। ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী যে ৪ হাজার শিশুর হার্ট সার্জারি সম্পন্ন করেন তাদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা এবং এদের সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫ হাজারের বেশি কার্ডিয়াক সার্জারি করেছেন। তিনি বাঙালী রোগীদের সঙ্গে সুন্দরভাবে বাংলায় কথা বলেন। এমনও দৃষ্টান্ত রয়েছে, চিকিৎসা করতে গিয়ে টাকা শেষ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশী রোগী ও স্বজনদের নিজের খরচে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মানবতাবাদী এই চিকিৎসক। এখনও ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী এবং তার নারায়না হৃদয়ালয় হাসপাতালে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে ওপেন হার্ট সার্জারির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা দেন, অন্যদিকে এই হাসপাতালে এসে যে কোন বয়সের হৃদরোগী যেন অর্থাভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। এখনও ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী রোগী বা তার স্বজনকে জিজ্ঞেস করেন ‘আপনার কি কি অসুবিধা আছে বলুন, এবং তখন রোগীর অর্থনৈতিক অবস্থা শুনে তিনিই পঁচিশ হাজার থেকে দেড় লাখ রুপি পর্যন্ত মূল্য ছাড় লিখে দেন। এছাড়াও এই হাসপাতালে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য অনেক আসন বিনামূল্যে সংরক্ষিত আছে। এ যেন এক অবিশ্বাস্য বিরল সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেবী শেঠী। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকাসহ খোদ আমেরিকান (যাদের স্বাস্থ্য বীমা নেই) রোগীরা প্রতিদিন দেবী শেঠীর হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। তিনি পৃথিবীর অন্যতম প্রধান হার্ট সার্জনই নন, মানবিকতায় সমগ্র বিশ্বের চিকিৎসকদের নিকট রোল মডেল। দেবী শেঠীর মতো এ রকম মানবিক ডাক্তার যদি আমাদের দেশে থাকত তা হলে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের হৃদরোগীদের বিনা চিকিৎসায় মরতে হতো না। মাদার তেরেসা তখন ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীর তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্রমে সেরে উঠছিলেন। একদিন তিনি দেখেন ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী একটি ‘ব্লু বেবি’ বা নীল শিশুকে বেশ যতœ করে পরীক্ষা করছেন। বেশ কয়েক মিনিট ধরে চুপচাপ ওই দৃশ্য দেখার পর মাদার তেরেসা ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীকে বললেন, ‘আমি এখন বুঝতে পারছি কেন তুমি এখানে আছো! হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের যন্ত্রণা দূর করার জন্যই ঈশ্বর তোমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।’ বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীর অবদান ভারতের প্রতিটি রাজ্যে জটিল কার্ডিয়াক সার্জারি সহজলভ্যভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ, বহরমপুর, ধারোয়াদ, ধবনগিরি, দুর্গাপুর, গোয়াহাটি, হায়দরাবাদ, জয়পুর, জামসেদপুর, কলার, কলকাতা, কুপম, মাইশোর, রায়পুর, সিমলাসহ ১৭টি স্থানে ২৯টি হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন তিনি। তার হাসপাতালে ৪ থেকে ৬টি বিল্ডিং রয়েছে। প্রত্যেকটিতে ২ থেকে ৫ হাজার বেড রয়েছে। এছাড়াও তিনি ১৯৮৯ সালে কলকাতায় ১৪০ শয্যার গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালে ৪৫০ শয্যার ‘ম্যানিপাল হার্ট ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তার নেতৃত্বেই কলকাতায় ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স’ নামে আরেকটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নারায়না হৃদয়ালয় লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদে থেকে নারায়না হেলথের ব্যানারে আফ্রিকার কেইমেন আইল্যান্ডে ও মালেশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ১টি হাসপাতাল পরিচালনা করছেন। ভারতের প্রতিটি রাজ্য এবং বিশ্বব্যাপী জটিল কার্ডিয়াক সার্জারি সহজলভ্যভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়াই ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীর স্বপ্ন। বিশ্বের গতিময় শহর ও ভারতের ইলেক্ট্রনিক সিটি ব্যাঙ্গালুরু ব্যাঙ্গালুরু এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে মহানগরের মসৃণ ও চওড়া রাস্তায় নামতেই ব্যাঙ্গালুরু শহর, মনে হলো প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত একটি বাগান। রাস্তার চারপাশ পুষ্পময় হয়ে আছে। সাজানো ও পরিপাটিভাবে নানা রঙের পাতা ও ফুল দুলছে রাস্তার দুধারে, আইল্যান্ডে, সর্বত্র। যাত্রাপথে ট্রাফিক পুলিশ কিংবা কোন পাহারাদারের দেখা মিলেনি। নেই সতর্কবাণী সংবলিত কোন নোটিস বোর্ড। তারপরও একটি পাতা কিংবা ফুল নষ্ট হয়ে এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নেই। পরিকল্পিত বাগানের মতোই পুরো শহরটিকে যেন আস্ত একটি বাগানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এয়ারপোর্টের খানিকটা জায়গাও ফাঁকা নেই। একটু জায়গা পেলেই কোন না কোন গাছের টব বসে আছে চমৎকারভাবে। পরে হোটেলের আশপাশের এলাকাতেও দেখেছি, প্রতিটি বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সামনে, ভেতরে, পেছনে ছোট বা বড় আকারের বাগানের উপস্থিতি। আর আছে আকাশমুখী লম্বা লম্বা গাছ। অধিকাংশই পামট্রি। দাক্ষিণাত্যের আবহাওয়ার উপযোগী নারিকেল, সুপারি, খেজুর, তাল জাতীয় গাছের ছড়াছড়ি সর্বত্র। ঝাউ আর মেহগনি জাতের গাছও দেখতে পেলাম। ব্যাঙ্গালুরুর রাস্তায় যান চলাচলের গতি এবং শৃঙ্খলাও চমৎকৃত করল। প্রশস্ত রাস্তায় এমনভাবে ফ্লাইওভার আর বাইপাসের ছড়াছড়ি রয়েছে যে, গতি না কমিয়েই হাজার হাজার গাড়ি নিজের পথে চলছে একই তালে। মিছিলের মতো মোটরসাইকেলে নারী-পুরুষ শামিল হয়েছে রাস্তার বড় বড় গাড়ির পাশে। সবাই চলছে সমান তালে । নিজ নিজ ট্র্যাক ধরে এগিয়ে চলছে গতির পথে। গতির প্রাধান্য হবে না কেন? এ বছরের জানুয়ারি মাসেই ব্যাঙ্গালুরু বিশ্বের সবচেয়ে ‘গতিময়’ শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। নারায়না হেলথ সিটি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে (মূল শহরের দিকে ) ভারতের ইলেক্ট্রনিক সিটি বা আইটি ক্যাপিট্যাল। ১৯৯৮ সালে যাত্রা করা এই আইটি সিটিতে গুগল, ইনটেল, ইনফোসিস, স্যামসাংসহ আরও অনেক কোম্পানির ২য় প্রধান দফতর রয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানির সফ্টওয়্যার এখান থেকে রফতানি করা হয়। আইটি ক্যাপিটালের প্রতিটি কোম্পানি হাজার হাজার মানুষের কর্মচঞ্চলতায় মুখরিত থাকে প্রতিদিন। মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ এ মহান চিকিৎসক হৃদরোগের শল্য চিকিৎসায় কিংবদন্তি, যিনি ভারতের প্রথম কোন কার্ডিয়াক সার্জন ১৯৯০ সালে হৃদরোগে (চউঅ) আক্রান্ত মাত্র নয়দিনের শিশুর ‘ঠরফবড় অংংরংঃবফ চউঅ খরমধঃরড়হ’ করেন। তিনিই ভারতের প্রথম কার্ডিয়াক সার্জন যিনি প্রায় কর্মক্ষমতা হারানো হৃদপি-ের বাম নিলয়ে সাহায্যকারী ডিভাইস (খবভঃ ঠবহঃৎরপঁষধৎ অংংরংঃ উবারপব) ব্যবহার শুরু করেন। চঁষসড়হধৎু ঞযৎড়সনড়বসনড়ষবপঃড়সু ঘবড়হধঃধষ ঙঢ়বহ ঐবধৎঃ, ঈধৎফরড়সুড়ঢ়ষধংঃু হৃদপি-ের বাইপাস সার্জারিতে তার বিশেষ খ্যাতি বলাবাহুল্য। চিকিৎসাসেবায় তার অবদানের জন্য অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি ভারতের সম্মানিত পুরস্কার পদ্মশ্রী (২০০৪ সালে) এবং পদ্ম ভূষণ (২০১২ সালে) লাভ করেন। কেন এত মানুষ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য এখানে আসছে বারবার এটা ভাবছিলাম। ডাক্তারদের আন্তরিক ব্যবহার, পেশাদারিত্ব, সেবার যোগ্যতা, সর্বোপরি ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠীর সম্মোহনী শক্তি ও মানবিকতা এসবই বাংলাদেশী রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভারতের নারায়না হেলথ সিটি ভ্রমণেরও ক্ষেত্র তৈরি করেছে। লেখক : শিক্ষক প্রতিনিধি আগ্রাবাদ সরকারী কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
×