ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বস্তির জয়ে শীর্ষেই চট্টগ্রাম আবাহনী

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

স্বস্তির জয়ে শীর্ষেই চট্টগ্রাম আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুযোগ ছিল রুখে দেয়ার বা প্রতিশোধ নেয়ার। কিন্তু সেটার কোনটাই করতে পারল না রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ ভাল খেলেও হার মানলো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে সোমবারের প্রথম খেলায় তাদের ১-০ গোলে হারায় কখনও লীগ শিরোপা না জেতা চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের প্রথমার্ধের স্কোরলাইন অবশ্য ০-০ ছিল। প্রথম লেগে রহমতগঞ্জকে ২-০ গোলে পরাভূত করেছিল শিরোপা প্রত্যাশী চট্টলার ক্লাবটি। নিজেদের ১৬ ম্যাচে এটা চট্টগ্রাম আবাহনীর দ্বাদশ জয়। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো তারা। সমান ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে আরেক আবাহনী, ঢাকা। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা ১৯৭৭ সালের লীগ রানার্সআপ রহমতগঞ্জের সপ্তম হার। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের দশম স্থানে (১২ দলের মধ্যে)। দ্বিতীয় লেগে বেশ জমে উঠেছে লীগ। পয়েন্ট হারাচ্ছে ওপরের সারির দলগুলো। জিতছে নিচের সারির দলগুলো। তাদের জন্য এখন প্রতিটি পয়েন্টই মহামূল্যবান। হঠাৎ করেই ছোট ক্লাব থেকে বড় ক্লাবে পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম আবাহনীর বেলাতেও সোমবার ঘটতে পারত অঘটন। পয়েন্ট হারাতে পারত তারা। কিন্তু ভাগ্যগুণে তা ঘটেনি। এদিন তেমন বৃষ্টি না হলেও খুব একটা উন্নতি হয়নি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠের অবস্থা। ভেজা মাঠ না শুকানোয় ওই কাদামাখা মাঠেই খেলা হয়েছে। দুই দলের খেলোয়াড়দের বুটের আঘাতে মাঠ হয়ে পড়ে আরও পিচ্ছিল ও কর্দমাক্ত। তারপরও ভাল ফুটবল খেলার চেষ্টা করে দু’দলই। ১২ মিনিটে দ্বিতীয় কর্নার পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। চোটের কারণে এদিন খেলতে পারেননি মামুনুল ইসলাম। তার দায়িত্বটা বর্তায় মোঃ আব্দুল্লাহর ওপর। তরুণ এই মিডফিল্ডারের কর্নার বক্সে হেড নেন আবাহনীর একজন খেলোয়াড়। তবে বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ৩৩ মিনিটে গোলের একটা দারুণ সুযোগ পায় আবাহনী। ফ্রিকিক পায় তারা। অধিনায়ক-মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন ডান পায়ের উঁচু শট ফেলেন রহমতগঞ্জের বক্সে। সেই বলে মাথা বা পায়ের সংযোগ ঘটাতে পারেননি উভয় দলের কোন ফুটবলারই। সেই বল মাটিতে ড্রপ খেয়ে উঁচু হয়ে ওঠে যায়। তখন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজীব দৌড়ে ও ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি বলের। বরং তাকে হতভম্ব করে বল গিয়ে লাগে ডান পাশের সাইডপোস্টে! পরে সেই বল রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করলে গোলবঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপে পোড়ে চট্টলার ক্লাবটি। প্রথমার্ধ চট্টগ্রাম আবাহনীকে ভালভাবেই আটকে রাখে রহমতগঞ্জ। তাই কাক্সিক্ষত গোলের সন্ধান পায়নি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ৪৭ মিনিটে রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাজীব বল গ্রিপে রেখে সময় ক্ষেপণ করেন। ফলে রেফারি আনিসুর রহমান পেনাল্টি এরিয়ায় ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিক দেন চট্টগ্রাম আবাহনীকে। নিয়ম অনুযায়ী বল নিয়ন্ত্রণের পর গোলরক্ষক ৬ সেকেন্ডের বেশি বল ধরে রাখতে পারবেন না। কিন্তু তারচেয়েও বেশি সময় বল ধরে রাখেন রাজীব। তবে সেই ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিক কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় আবাহনী। ৬৯ মিনিটে বাঁপ্রান্ত দিয়ে হাইতিয়ান লিওনেল সেইন্ট প্রিয়ক্সের বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট বারে লেগে ফেরত আসে। আবারও গোলবঞ্চিত হয় আবাহনী। ৭১ মিনিটে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন আবদুল্লাহ। বক্সের প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে তার শট ডান পোস্টে লেগে ঢুকে যায় জালে (১-০)। পরের মিনিটেই রহমতগঞ্জের দাউদা সিসে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়ার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
×