ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিবিড় পর্যবেক্ষণে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

নিবিড় পর্যবেক্ষণে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পীর ছেলে কারু তিতাস। কারু তিতাস জনকণ্ঠকে জানান, রবিবার রাতে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর পায়ের গোড়ালিতে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালটির সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। হাসপাতালে অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক নকুল দত্তের অধীনে প্রখ্যাত এই ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশনে রেখেছেন। এ বিষয়ে কারু তিতাস বলেন, মায়ের যে অবস্থা, ডাক্তাররা বলছেন ৭২ ঘণ্টা না কাটলে তারা সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারছেন না। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি। গত নবেম্বর মাসে নিজের বাসায় বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে চোট পান ৭০ বছর বয়সী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। পরে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা তাকে জানান, গোড়ালির একটি হাড় স্থানচ্যুত হয়েছে। পরবর্তীতে শিল্পীকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। এই মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তার রক্তে পটাসিয়াম ও হিমোগ্লোবিন একেবারেই কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি কিডনির জটিলতায়ও ভুগছেন। ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর। ১৯৭১ সালে তিনি পাকবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান। ২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’।
×