ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

বিজয়ের মাস চলমান, সামনে চৌদ্দ ও ষোলই ডিসেম্বর: আনন্দ-বিষাদে মোড়ানো দুটি দিন। আজকের লেখার শুরুতে একজন শ্রদ্ধেয় শহীদ সাংবাদিকের সন্তানের সদ্য প্রকাশিত অনুভূতিমালা তুলে দিচ্ছি। লেখাটি পোস্ট আকারে ফেসবুকে তিনি দিয়েছেন দশই ডিসেম্বর পিতার অন্তর্ধান দিবস স্মরণে। জাহীদ রেজা নূর লিখেছেন : “একাত্তর আবার ফিরে আসে ডিসেম্বর এলে। অজানা দেশের না জানি কীÑ আব্বা সম্পর্কে এ রকম একটা ভাবনা আসে মনে। বয়স যখন খুব কম, তখন থেকেই জানি বাবা নেই। আব্বা চলে যাওয়ার পর একটা অসাধারণ সংগ্রাম করেছেন আম্মা। আমাদের আট ভাইকে বিপথে যেতে দেননি। শুধু বলেছিলেন, যা-ই করো না কেন, মনে রাখবে, তোমরা সিরাজুদ্দীন হোসেনের সন্তান। ওই একটি কথাই আমাদের পথ চলতে সাহায্য করেছে। আমরা বড় হয়েছি যখন, তখন প্রতি বছরের শেষদিকে এসে আমাদের পরনের প্যান্ট উঠে এসেছে গোড়ালির কাছে, শার্ট হয়ে গেছে আঁটোসাটো। অপেক্ষা করতাম একটি ঈদের জন্য। বছরে একবারই ঈদের সময় নতুন শার্ট আর প্যান্ট বানিয়ে দেওয়া হতো। কত কষ্ট করে যে বড় দুই ভাই সে টাকা জোগাড় করতেন! আব্বার জন্য যেমন গর্ব হয়, গর্ব হয় আম্মার জন্যও। আমি সেই ছেলেটিকে দেখি, যে তার ম্যাট্রিক পরীক্ষার পড়া তৈরি করছে রাস্তার স্ট্রিটলাইটের সামনে বসে। সেই ছেলেটিকে দেখি, যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঠাট্টা করে বলছে, ‘তুমি যেদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবা, সেদিন আমি গ্রামে চলে যাব হাল চাষ করতে!’ যুদ্ধের পর পাকিস্তানের জেল থেকে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধু লন্ডন থেকে ইত্তেফাক অফিসে ফোন করে বলেছিলেন, ‘সিরাজকে নাকি ওরা মেরে ফেলেছে?’ কথাটা সত্যি জেনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আহা!’ সিরাজকে বঙ্গবন্ধু চিনতেন। ৬ দফার প্রচারণায় সিরাজের ভূমিকা জানতেন। আলোচনা করতে আসতেন ইত্তেফাকে। সিরাজ যতক্ষণ লিখত, ততক্ষণ তিনি বসে থাকতেন সামনের চেয়ারে। তারপর দুই বন্ধু কিছুক্ষণ কথা বলার পর বঙ্গবন্ধু বিদায় নিতেন। আব্বার ছিল অদ্ভুত চরিত্র। কেউ কষ্টে আছে, সেটা সহ্য করতে পারতেন না। বেতন পেয়ে সে টাকা যে কাকে কাকে দিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরতেন, নিজেও জানতেন না। সেই অল্পকিছু টাকা হাতে নিয়ে আম্মা চালাতেন সংসার। আমি মা-হারা সেই ছোট্ট মেয়েটিকে দেখি, যে তার জটা চুল নিয়ে খেলে বেড়াচ্ছে। কেউ নেই ওকে একটু আদর করে। সেই মেয়েটিকে দেখি, যে কিছু বুঝতে পারার আগেই সিরাজের বউ হয়ে গুছিয়ে নিয়েছে সংসার। নূরজাহান সিরাজী যতদিন বেঁচে ছিলেন, বুঝতেই পারিনি. কী এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নিয়ে তিনি আমাদের সামনে এসেছেন। অভাবের সংসারটা চালিয়েছেন হাসিমুখে। অল্প আয়োজনেই মুগ্ধ করেছেন প্রতিদিনের অতিথিদের। অভিনেতা আল মনসুরকে খুব পছন্দ করতেন আম্মা। আল মনসুর মানে বেলাল ভাই এক সময় প্রায় প্রতিদিন আড্ডা দিয়েছেন আমাদের বাড়িতে। সঙ্গে থাকতেন হাবিবুল হাসান (মাকনা ভাই), রিয়াজ উদ্দিন বাদশা ও সাইদুল আনাম টুটুল। ঢাকা থিয়েটারের অনেক নাটকের মহড়া দেখেছি তাদের। আসত সেলিম ভাই আর আমাদের বন্ধুরা। সারাদিন খেলতাম আমরা। বন্ধুরাও দুপুরে খেয়ে ফিরত বাড়ি। মেন্যু যা-ই হোক না কেন, তা ছিল অমৃত। এখন আমার মনে হয়, সারাজীবন দারিদ্র্যের মধ্যে থেকে আম্মা সেটাই মেনে নিয়েছিলেন। দারিদ্র্য কাকে বলে, সে সম্পর্কে হয়তো এ কারণেই তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। ১০ ডিসেম্বর আব্বার অন্তর্ধান দিবস। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর আম্মা মারা গেছেন। আমাদের মাথার ওপর এখন অভিভাবক নেই। কিন্তু তারপরও মনে হয়, এনালগ যুগের একটি কালো টেলিফোন থেকে আব্বা ফোন করে বলছেন, ‘কীরে, তোরা কেমন আছিস? এই নে, তোর মায়ের সঙ্গে কথা বল।’ এ কথা মনে হলে আমি সব দুঃখ ভুলে যাই।” আনন্দ-বেদনার এক মিশ্র অনুভূতি গত বছর ডিসেম্বর আসার আগেই বিজয় দিবসের কথা মনে পড়িয়ে দিয়েছিলেন একজন পতাকা বিক্রেতা। এবারের ডিসেম্বরে আবার তাকে স্মরণ করি। এ আমার লাল-সবুজ পতাকারই উদযাপন, বিজয় দিবসের আগে বিজোয়োল্লাস ছুঁয়ে ফেলা। সেই লোকটিÑ খালি পা, মলিন লুঙ্গি-পাঞ্জাবি পরিহিত এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পতাকা বিক্রির মৌসুম দুটিÑ একেবারে বাঁধাধরা। মার্চ এবং ডিসেম্বর। বিশ্বকাপ ফুটবলের মৌসুমে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা যে হারে বিক্রি হয় সে তুলনায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এই দুটি মাসে কমই বিকিকিনি হতে দেখি। আসলে তুলনাটা করা ঠিক হলো না। একটি হচ্ছে বছর চারেক পরে হুজুগে মাতা, এক অন্ধ উন্মাদনা; অপরটি বুকের গভীরে লালন করা এক চিরকালীন মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো আত্মগৌরব। তাতে দেখানেপনা নেই। যদিও বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বেলায় ভিন্ন হিসাব কাজ করে। সেখানে প্রকাশিত হয় দেশের প্রতি দরদ ও গৌরব। বাংলাদেশ দল হঠাৎ হঠাৎ জয়ের স্বাদ পেলে ঢাকায় আনন্দের ঝড় বয়ে যায় হাজার মাইল বেগে! শুধু কি ঢাকায়? গোটা দেশই তখন এক আনন্দ-পারাবার। তখন ঢাকার রাস্তায় এমন পতাকা বিক্রেতার দেখা মেলে। নিশ্চয়ই এদের আসল পেশা ভিন্ন। বহু বছর আগে বিটিভির বিজয় দিবসের জন্য একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে এমন ক’জন পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। জেনেছিলাম কেউ ক্ষেতমজুর, কেউ রিক্সাওয়ালা, কেউ বা মনোহর দ্রব্যের ফেরিওয়ালা। উত্তরা মডেল টাউনের নর্থ টাওয়ারের দীর্ঘ ছায়ার নিচে দাঁড়ানো আমাদের এ খণ্ডকালীন পতাকা বিক্রেতাটির মাথার গামছায় ডমিনেট করছে সবুজ রং, খুব লক্ষ্য করে দেখলে লাল স্ট্রাইপ নজরে পড়ে। কাঁধে ঠেস দেয়া দেড়তলা সমান দণ্ডে বিভিন্ন মাপের জাতীয় পতাকা আটকানো। উত্তরে হাল্কা হাওয়ায় উড়ছে পতপত লাল-সবুজের অহঙ্কার। আহা আমার প্রাণের পতাকা। এটি অর্জনের জন্য আমাদের আপনজনদের রক্তগঙ্গায় স্নাত হয়ে উঠেছিল বাংলার মাটি। এর গৌরব রক্ষা করতে গিয়ে বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের কতই না সংগ্রাম আর সাধনা। হায়েনা হটিয়ে হটিয়ে আশ্চর্য রক্তগোলাপকে চিরঞ্জীব রাখা। ডিসেম্বরের শুরুতে এমন পতাকা বিক্রেতার দেখা মেলে ঢাকার অলিতে গলিতে। পতাকা বিক্রি সাময়িক পেশা বটে। তবু তাদের আমার নিছক পতাকা-বাহক বলে মনে হয় না। মন জানিয়ে দেয় এরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার। প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে শামিল এইসব মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধেরই ফসল, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিনিধি। হাতের পতাকা পৌঁছে দিচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল্য ওই পতাকার দিকে তাকিয়ে আমাদের অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে। যেসব পুরনো শকুন ওই পতাকাকে ছিঁড়েখুঁড়ে ধুলায় মেশাতে চায়, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। বিজয় দিবস আসন্ন। বিজয়ের পেছনে কত অশ্রু আর রক্তনদী বয়ে গেছে, ওই পতাকা আমাদের সে কথা কখনই যেন ভুলতে না দেয়। প্রতিটি বিজয়ের আগে উদার অসীমে বিজয় নিশানের দিকে চোখ রেখে আমরা যেন বলতে পারি, রাজাকারমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে আমরা আরও এক কদম এগিয়ে গেলাম। বছরের শেষতম এ মাসটি ফি বছর এসে উপস্থিত হয় আনন্দ-বেদনার এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছিল এ মাসটিতে, অর্জিত হয়েছিল চূড়ান্ত বিজয়। ষোলোই ডিসেম্বরে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী বাধ্য হয়েছিল অস্ত্র সমর্পণ করতে। কিন্তু তার অব্যবহিত আগে তাদের দোসর রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় তারা ইতিহাসের বর্বরতম মানব-নিধনে মেতেছিল। চৌদ্দই ডিসেম্বরে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার শত্রুরা আমাদের মেধা ও মননশীলতার সংকটে নিমজ্জিত করতে চেয়েছিল। ডিসেম্বর ফিরে এলে তাই আমাদের এক চোখে অশ্রু টলমল করে। অন্য চোখে খেলে যায় খুশির ঝিলিক। হঠাৎ বৃষ্টিতে পণ্ড পিকনিক এবং সোফিয়া সমাচার শনিবার অনেকেরই সাপ্তাহিক ছুটি। আর শীত শুরু হলেই ঢাকাবাসীর পিকনিকের ধুম পড়ে যায়। শনিবার সক্কালে ঢাকার বাইরে পিকনিক করার পরিকল্পনা করেছিলেন অনেকেই। বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ লঘুচাপ এসে বৃষ্টিকে ডেকে এনে সেইসব পিকনিকের পুরো মজাটাই প- করে দেয়। ঢাকার বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা এসব নিয়ে কম লেখা হয়নি এই কলামে। তবে পাশাপাশি ছোট্ট করে মেয়রের সাফল্যের কথাটাও বলা চাই। কারওয়ান বাজারে সোনার গাঁ হোটেলের পশ্চিমদিকের ফুটপাথটি আমার পছন্দের। অনেক সময় হাতিরঝিল ঘেঁষা এই ফুটপাথ দিয়ে হাঁটি বাংলা মোটর পর্যন্ত। বর্ষায় লবেজান হওয়ার কথা মনে আছে এই পথটুকু চলতে গিয়ে। ফুটপাথ এবং মূল রাস্তায় গর্ত, খানাখন্দ বৃষ্টির পানির নিচে থাকায় বহুজন ‘প্রতারিত’ হয়ে পা হড়কেছেন। সেদিন রিমঝিম বরষায় পরিচ্ছন্ন এবং বাঁধানো ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে মনে হলো এভাবে অল্প অল্প করে ঢাকার অনেক সড়ক ও ফুটপাথের সংকটই কাটিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা সমালোচনা করতে ছাড়ি না, কিন্তু ছোট ছোট প্রাপ্তির প্রশংসা না করলে কর্তৃপক্ষ প্রেরণা পাবেন কিভাবে? রোবটিনী সোফিয়া নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমিও লিখেছি সেদিন জনকণ্ঠের প্রথম পাতায়। তাই পুনরুক্তির প্রয়োজন নেই। শুধু বলি, রোবটটি সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিয়ে গেছে। একজন বললেন, সোফিয়া তো ছিল আধখানা আদলে। মানে কোমরের নিচটা, বা দুই পা এখনও সংযোজন করা হয়নি। অর্ধেক সোফিয়াই যা বাজিমাৎ করল। যদি পুরোটা হতো তবে কী হতো? সে যাক, একটা বড়সড় পুতুল প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দিচ্ছে, আর তার মুখেও খেলে যাচ্ছে মানুষের মতো অভিব্যক্তি- এই বিষয়টিই ছিল অভিনব। এই রোবট যদি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অবয়বে তৈরি হতো, তাহলেও একই ফল ঘটত। মানুষ প্রশ্ন করছে, আর বাঘ তার মজাদার উত্তর দিচ্ছে, মন্দ হতো না বিষয়টা। সোফিয়ার ঢাকা ভ্রমণ নিশ্চয়ই ব্যয়সাপেক্ষ হয়েছে, তবু আয়োজকেরা সার্থক, মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সোফিয়াকে একঝলক দেখার জন্যে। কাফকার অনশন-শিল্পী এবং ডাকসু নির্বাচনের দাবি একক ব্যক্তি অনশন করলে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাফকার সেই বিখ্যাত গল্প ‘এক অনশন-শিল্পী’-র কথা মনে পড়ে যায়। কী মারাত্মক গল্প! ওই যে সেই গল্পটি: এক লোকের পেশাই হচ্ছে না খেয়ে থাকা, ক্ষুধা-শিল্পী সে, একদিন ওভাবে উপোস করেই সে মারা যায়, আর মরার আগে বলে যায়, তার খাওয়ার মতো কোন খাবার এই পৃথিবীতে নেই বলেই অনশনই ছিল তার শিল্প। কবি মাসরুর আরেফিনের সার্থক অনুবাদে কাফকার গল্প সংকলনে রয়েছে এটি। যা হোক, গল্পের প্রসঙ্গ থাক। এই ঢাকা শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে একজন শিক্ষার্থী এককভাবে অনশন করেন। তার নাম ওয়ালিদ আশরাফ। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেই অনশনকারীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় জনকণ্ঠের এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল- ‘ক্রমশ এই আন্দোলন বৃহৎ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানা গেছে।’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনশনকারী অনশন ভেঙেছেন ভিসির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে। এধরনের আশ্বাস যদিও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনেকবারই দেয়া হয়েছে দফায় দফায়। ফল আর ফলেনি। এই অনশন যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিটিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে, এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে সেটি স্বীকার করতেই হবে। যদিও ফেসবুকের কল্যাণে এই অনশনের পক্ষ-বিপক্ষে বেশ তর্ক-বিতর্কও প্রত্যক্ষ করা গেল। একজন ফেসবুকার লেখেনÑ ‘এই যে ডাকসুর নির্বাচন নিয়া অনশন। এইটা মনে হইলো জীবন-মরণ সঙ্কট। আমার কাছে তারে মিডিয়া সিকার ছাড়া কিছুই মনে হয় নাই। এইটা আমার মত। ভিন্নমতও থাকতে পারে। সেটির প্রতিও পূর্ণ শ্রদ্ধা থাকবে।’ প্রত্যুত্তরে একজন লেখেনÑ ‘ সারা দেশে আউল ফাউল নাটক নভেল মহাকাব্য রোজ কত কি হচ্ছে তার চেয়ে এই ঘটনা তো অনেকটাই যুক্তিযুক্ত। তারপরেও আপনার কাছে এমন মনে হলো? আমি বিস্মিত!’ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ [email protected]
×