ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্ধারিত সময়ের আগে দারিদ্র্য অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে

প্রকাশিত: ০৮:২০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

নির্ধারিত সময়ের আগে দারিদ্র্য অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দারিদ্র্য নিরসনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এখন প্রবৃদ্ধির সুফল সবার কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে উৎপাদন, বণ্টন ও কর্মে নিয়োগে পূর্ণ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার আগে দারিদ্র্য অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে মাথাগুনতি দারিদ্র্যের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। রবিবার রাজধানীর শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় কনভেনশনের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ এপিপিজিস্, অক্সফাম এবং আমার অধিকার ক্যাম্পেন জাতীয় কনভেশনের আয়োজন করে। দেশের দারিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরা এই কনভেনশনের মূল উদ্দেশ্য। দিনব্যাপী এই কনভেনশনে বিভিন্ন পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি যোগদান করেন। জাতীয় কনভেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপসমূহের কমিশনের চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন বা এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আইটি সেক্টরে সকলের অংশগ্রহণের জন্যও কাজ করছে সরকার। সেই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের সব মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে একতাবদ্ধ হতে হবে। এ সময় তিনি সুন্দর-শান্তিময় আগামী নিশ্চিতের জন্য ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ গড়ারও আহ্বান জানান। স্পীকার বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, দারিদ্র্যের কারণে মানবাধিকার বাধা প্রাপ্ত হয় দারিদ্র্যবিমোচনে সরকার নিরলস কাজ করছে। এর ফলে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার সফল হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
×