ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টিতে আমন ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি ॥;###;ট্রলার ডুবে বরগুনায়;###;৪ জেলে নিখোঁজ

নিম্নচাপ লঘুচাপে পরিণত, আরও দুই দিন বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

নিম্নচাপ লঘুচাপে পরিণত, আরও দুই দিন  বৃষ্টি হতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে আরও দু’দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রবিবার রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় হাল্কা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে আরও অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আশঙ্কা নেই। রবিবার বৃষ্টির কারণে ট্রলার ডুবে বরগুনার আমতলীতে নিখোঁজ রয়েছে চার জেলে। বৃষ্টিতে দেশের রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেতের পাকা আমন ধানের গাছ নুয়ে পড়ে কাদা মাটিতে মিশে গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় দুই শ’ হেক্টর জমির আলু। আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য অনেক হ্রাস পেয়েছে, যা শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। রবিবার দিনভর রাজধানীতে হাল্কা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। দেশের সমুদ্রবন্দরসমূহকে দেয়া তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ডিসেম্বরে বাংলাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২টি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হাল্কা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে। নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এফবি হাওলাদার নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার নিম্নচাপের কারণে ডুবে গেলে ট্রলারের চার জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ জেলেরা হলেনÑ উপজেলার ছোট আমখোলা গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩৫), মোঃ আলী হোসেন (৩৪), শাহিন মিয়া (৩২) ও বড় আমখোলা গ্রামের আশিকুর রহমান কিরণ (৩০)। তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, ট্রলারটিসহ নিখোঁজ চার জেলের সন্ধানের চেষ্টা চলছে। উপকূলীয় এলাকায় সব থানায় জেলেদের নিখোঁজের বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। গত তিন দিনের বর্ষণে আমতলী ও তালতলী উপজেলার পাকা আমন ধান ও রবি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের কারণে পাকা আমন ধান মাটিতে লুটিয়ে পরেছে এবং বৃষ্টির পানি জমে খেসারি বীজ পচে গেছে। এদিকে আমতলী ও তালতলী দুই উপজেলায় এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর। এর মধ্যে আমতলীতে ২৩ হাজার ৫০০ ও তালতলীতে ১৫ হাজার হেক্টর। আমতলী ও তালতলীতে এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন আমন ধান কাটার পুরো মৌসুম। কিন্তু গত তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠে ধান কাটতে পারছে না। পানিতে মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। বাতাসে পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে পরেছে। এদিকে দুই উপজেলা রবি ফসলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর। এর মধ্যে খেসারি ৭ হাজার, শাক-সবজি ৪০০, আলু ১০, সড়িষা ৩৫ ও মসুর ৫ হেক্টর। ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে খেসারি, সড়িষা ও আলুর বীজ পচে গেছে। কৃষকরা জানান, আমনের পাকা ধান বাতাসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে এবং ক্ষেতে পানি জমে খেসারি, সড়িষা, আলু ও শাক সবজি পচে গেছে। স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং উপকূলীয় জেলাগুলোসহ দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোন দুর্যোগের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, নিম্নচাপটি এখন আর সক্রিয় নেই। লঘুচাপে পরিণত হওয়ার পর বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে এটি মিলিয়ে যেতে পারে। উপকূলীয় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এরপর নেমে আসতে পারে শীতের প্রকোপ। আবহাওয়া অফিস জানায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৯ মিলিমিটার। আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও তা ভারি বর্ষণ হবে না। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সীমিত থাকতে পারে ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটারের মধ্যে। এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবারও দুপুর পর্যন্ত ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত। এতে করে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে থাকে। সন্ধ্যায় কোন বৃষ্টি ছিল না। তবে সাগর অশান্ত থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা চট্টগ্রামের দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। মৎস্যজীবীরাও ফের সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরের আলু চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে বপনকৃত আলুর জমিতে পানি জমে গেছে। এতে বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বপনকৃত আলুর। গত বছর বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকই আলু গোলায় তুলতে পারেনি। আর এবার সদ্য বপনকৃত আলুর জমিতে পানি জমায় শুরুতেই হোঁচট খেতে বসেছে কৃষক। জানা যায়, গত বছরের আলুই এখনও বিক্রি করতে পারেনি কৃষক। অনেকেই দাম না পাওয়ায় এখনও কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বের করেনি। তার পরেও এ বছর আলুতে ব্যবসা হবে এ আশায় দেশের প্রধান আলু উৎপাদকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরের কৃষকরা কোমর বেঁধে আলু চাষ শুরু করে। মাত্র কিছুদিন হলো কৃষকরা জমি তৈরি করে আলু বপন করতে শুরু করেছে। কিন্তু নিম্নচাপের কারণে গত শুক্রবার রাত হতে সারাদেশের মতো এ অঞ্চলেও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টির পানি আলুর জমিতে আটকে গেছে। কোন দিকে সরতে না পারায় বপনকৃত জমির মাটি ভিজে কাদা মাটি হয়ে গেছে। এতে বপনকৃত আলুর বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অঞ্চলের কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার চাঠাতি পাড়া গ্রামের মোঃ জুয়েল তালুকদার জানান, তিনি গত দুই সপ্তায় ৪ কানি জমিতে আলু বপন করেছিলেন। এতে তার প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত তিনদিনের বৃষ্টিতে এসব আলুর জমিতে এখন পানি জমে আছে। তিনি জানালেন হয়তো তিন ভাগরে এক ভাগ আলু ঠিক থাকতে পারে। বাকিগুলো বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, গত বছর তিনি ১১ কানি জমিতে আলু লাগিয়েছিলেন। খরচ হয়েছিল ২০-২২ লাখ টাকা। ফলনও ভাল হয়েছিল। আলু উঠার ঠিক কিছু দিন আগে ঘন বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে যায়। পচন ধরে আলুতে, তাই টাকা খরচ করে লেবার দিয়ে সে আলু আর গোলায় তোলেননি। এ বছর আবার আশা নিয়ে আলু বপন করলেও শুরুতেই হোঁচট খেতে হলো বৃষ্টির কারণে। জুয়েলের মতো এমন শত শত কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোঃ হুমায়ন কবির জানান, বৃষ্টির কারণে সদ্য বপনকৃত আলুর জমিতে পানি জমেছে। তবে কি পরিমাণ আলুর ক্ষতি হবে তা এ্যাসেসমেন্ট না করে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ বছর ৩৯ লাখ তিন শ’ হেক্টর জমিতে আলু বপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বপন করা হয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল থেকে জানান, বাউফলে বৃষ্টিতে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়েছে। ফলে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শুয়ে পড়েছে আমন ধানের ক্ষেত। পানিতে তলিয়ে গেছে খেসারি ডালের ক্ষেত। চরকালাইয়া ও উত্তর কালাইয়া গ্রামের পংকজ সরকার, মাহবুল সরকার ও রমেশ সরকারসহ প্রায় ১০ থেকে ১২ কৃষকের ২২ একর জমির আলু ক্ষেত পানিতে পচে গেছে। একই এলাকার আফজাল ও ছালাম মিয়াসহ অনেক কৃষকের খেসারি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত। এ ছাড়াও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে চররায়সাহেব এলাকার জসিম হাওলাদার ও গনি হাওলাদার নামের দুই কৃষকের ২৫ একরের একটি তরমুজ ক্ষেত সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সরোয়ার জামান জানান, অকাল বৃষ্টিতে পাকা ধান ৫ শতাংশ, অন্যান্য রবিশস্যের শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ ক্ষতি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে খেসারি ডালের যা প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য কৃষকদের মুগডাল চাষাবাদের আগ্রহী করার জন্য কাজ করবে কৃষি বিভাগ। তিনি আরও জানান, বৃষ্টির পানি শুকানোর পর রবিশস্যের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। ফলে রবিশস্যের ভাল ফলন নিয়েও চিন্তা রয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর থেকে জানান, অকাল বর্ষণে মির্জাপুরে রবি ফসল আবাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষক। শনি ও রবিবারের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে কৃষকের আবাদ করা রবি ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কৃষকের ফসল বৃষ্টির তুড়ে নুয়ে পড়ে মাটির সঙ্গে লেগে গেছে। বিশেষ করে সরিষা ও আলুর আবাদ এই অকাল বর্ষণে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়েছে বলে এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে। মির্জাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুর রহমান তিনি জানান, অসময়ের এই বৃষ্টিতে ২ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর সরিষাসহ প্রায় ৩ হাজার হেক্টর রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান। নিজস্ব সংবাদদাতা, কচুয়া, চাঁদপুর থেকে জানান, কচুয়া উপজেলার চারদিনের টানা বৃষ্টিতে আলুর জমি পানিতে নিমর্জিত হয়েছে। উপজেলার সাচার, পালাখাল, বিতারা, পশ্চিম, পূর্ব সহদেবপুর ও কাদলা ইউনিয়নের প্রায় ১০০ হেক্টর আলুর জমি পানিতে নিমর্জিত হয়ে আছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছর সমগ্র উপজেলায় ৩ হাজার ৯শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৪শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে টানা বর্ষণের কারণে ১০০ হেক্টর জমির আলু পানিতে নিমর্জিত হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আলুর জমি থেকে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়ন বাঁছাইয়া মাঠে ৪ একর আলু চাষী শাহআলম জানান, আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে জমিতে আলু রোপণ করেছি। চারদিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের সব কৃষকের আলুর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ বিষয়ে কৃষি অফিসার আহসান হাবীব বলেন, এ বছর আমাদের উপজেলায় ৩, হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের কৃষক ভাইয়েরা ৩শ’ ৭৫ হেক্টর আলু চাষাবাদ করেছে। তিনদিনের টানা বর্ষণে প্রায় ৫০ হেক্টর আলুর জমি পানিতে নিমর্জিত রয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, অসময়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে নওগাঁ অঞ্চলের ইটভাঁটি মালিকদের মাথায় হাত উঠেছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। একদিনের হঠাৎ বৃষ্টিতে গলে নষ্ট হয়েছে অন্তত কয়েক কোটি কাঁচা ইট। ইট তৈরি ও সরবরাহ না থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে ভাঁটির আগুন। দুই সপ্তাহ কর্মহীন হয়ে পড়বে শুধু মান্দা উপজেলারই ৩৪ ভাঁটিতে কর্মরত প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি থেকে জানান, বৃষ্টির কারণে পাকা ও আধাপাকা আমন ধানের ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেতের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
×