ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনা ॥ সততার রেনেসাঁ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

শেখ হাসিনা ॥ সততার রেনেসাঁ

নিবন্ধের শুরুতে অজস্র অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে। হাজার বছরের ইতিহাসে মহাকালের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরল ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মবিশ্বাস, প্রজ্ঞা, মেধা ও অতুলনীয় নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অর্জিত বাঙালী জাতির সর্বপ্রথম নিজস্ব স্বাধীন সার্বভৌম ভূখন্ড- এই বাংলাদেশ। কালের পরিক্রমায় ৪৬ বছর পেরিয়ে নবতর বহুমাত্রিকতায় অবর্ণনীয় সমৃদ্ধ এই দেশের বর্তমান রাষ্ট্রনায়ক জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনা। ‘সত্য ও সততার জয় অনিবার্য’ সভ্য সমাজ-সভ্যতার এই অমিয় আদর্শ-চেতনাকে ধারণ করে অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে নির্ভীক উচ্চারণে নিপীড়িত, নির্যাতিত, বহুলাংশে পশ্চাদপদ ও অনগ্রসর জাতিকে নবজাগরণের দ্বীপশিখা প্রজ্বলনের পথ প্রদর্শন করে চলেছেন। এ জন্যই বহু নন্দিত বিশেষণে অভিষিক্ত করে জাতি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে তাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় সমাসীন করেছে। এটি সকলেরই জানা যে, পাশ্চাত্য সভ্যতার ইতিহাসে ১৩০০-১৬০০ পর্যন্ত রেনেসাঁ বা নবজাগরণের যে পর্যায় পুরো বিশ্বকে যে নতুন আলোর সন্ধান দিয়েছিল তা ছিল জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, কলা ইত্যাদির নবতর জাগৃতির মাধ্যমে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে উন্নীত করার এক অসাধারণ আন্দোলন। অনেকের মতে রেনেসাঁর মৌলিক মন্ত্র ছিল সত্য, সুন্দর, কল্যাণ ও আনন্দের জয়গানে মুখরিত ও উজ্জীবিত করে মানবিক ও মানসিক সকল সুপ্ত শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে নতুন মাত্রায় পুরো বিশ্বকে অভিনব ধারণায় সম্পৃক্ত করা। এটি আমাদের জানা যে, প্রায় এক হাজার বছর বিশ্বের জ্ঞান ও যুক্তিসমৃদ্ধ অনুসন্ধান ও উদ্ভাবন পন্থাকে আড়ালে রেখে অশুভ নিদ্রার শক্তি ও বিশ্বাস মানুষকে বিভ্রান্ত করে রেখেছিল যা মানব ইতিহাসে ‘অন্ধকারের যুগ’ হিসেবে পরিচিত। ইতালির কবি ও পন্ডিত পেত্রার্কের (১৩০৪-১৩৭৪) নেতৃত্বে অন্ধকার যুগের কালিমা ও কলুষতাকে বিদূরিত করে মানুষের মনন-সৃজনশীলতা, মানবিকতা সর্বোপরি প্রাচীন গ্রীস ও রোমের তথা মনীষী সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল প্রমুখের পরিশুদ্ধ সত্য ও সততার বার্তা এবং ঐতিহ্যের আলোকে শিল্প-সাহিত্যের পারঙ্গমতা ও সামাজিক গুণাবলীর উপলব্ধিকে নতুনভাবে দীপ্তমান করার লক্ষ্যেই রেনেসাঁর সূত্রপাত। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির দেশের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে মাত্র ২২ বছরে উন্নয়ন মানদ-ের সূচকে এক অভাবনীয় উঁচুমাত্রায় সে দেশকে সমাসীন করে বিশ্বে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনা করেছেন। তাঁর উন্নয়ন চেতনা ও আদর্শের মূলে যে দুটি প্রত্যয় কার্যকর ছিল তা হলো এক. সততা/নৈতিকতা (Integrity) দুই. সম্ভাবনা (Opportunity)। অর্থাৎ সব মিথ্যার বেসাতিকে নিধন করে সত্য ও সততার আলোকে দেশজ সকল সম্ভাবনাকে নিরলস কাজে লাগিয়ে উন্নয়নকে নিশ্চিত করার শিক্ষাই উপস্থাপন করেছেন। বিজয়ের মাস ২০১৭ উদযাপন করার আগেই নবেম্বর মাসে বাঙালী জাতির ইতিহাসে দুটি বিশেষ ধরিত্রী উপহার শুধু নতুন অধ্যায় সূচিত করেনি, নতুন প্রাণস্পন্দন ও প্রাণসঞ্চারের এক অবিনাশী উজ্জীবনী শক্তির নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। প্রথমটি জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ ও দ্বিতীয়টি হলো প্রধানমন্ত্রীর সততার জন্য বিশ্বদরবারে এক অকল্পনীয় বিশ্ব স্বীকৃতি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জাতির পিতার জীবন চরিত, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব, ৭ মার্চের ভাষণ এবং সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যেসব বিদগ্ধ পন্ডিত ও শিক্ষাবিদ তাদের লেখনীতে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন, একজন ক্ষুদ্র শিক্ষার্থী হিসেবে আমারও বেশ কিছু লেখালেখি এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল। ‘কালজয়ী ৭ মার্চ : বিশ্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ’ শিরোনামে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পত্রিকায় ছাপানোর জন্য পাঠানো আমার নিবন্ধের বিষয়ে কেউ কেউ এই ভাষণকে বিশ্বশ্রেষ্ঠ বলা যায় কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে এই ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণপূর্বক এটি প্রমাণ করার প্রয়াস পেয়েছি যে, এই ভাষণ বিশ্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ। ফলে উল্লেখিত শিরোনামেই দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক পূর্বকোণসহ কয়েকটি গ্রন্থে নিবন্ধটি প্রকাশ পেয়েছে। আজ বিশ্ব স্বীকৃতির পর গৌরবের সঙ্গে দাবি করতে পারি আমার বিশ্লেষণই সত্য। সম্প্রতি নবেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সততার জন্য বিশ্ব স্বীকৃতি আবারও যথার্থ অর্থে প্রমাণ করল দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্ভীক উচ্চারণ ‘সত্য ও সততার জয় অনিবার্য।’ আমরা জানি, ‘পিপলস এ্যান্ড পলিটিক্স’ নামক সংগঠনটি একটি বিশ্বের অত্যন্ত উঁচু মার্গের গবেষণা সংস্থা। সম্ভবত ২০০১ সালে ‘সুইডিশ স্কুল অব ইকোনমিকস্, হেলসিন্কি’; ‘দি নরওয়েজিয়ান স্কুল অব ইকোনমিকস এ্যান্ড বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, বের্গেন’; ‘কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল’; ‘হেলসিনকি স্কুল অব ইকোনমিকস’ ইত্যাদির বিশ্ববরেণ্য শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনীতি, সংস্কৃতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, জেন্ডারসহ বিভিন্ন মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সুশাসন বিষয়ক গবেষণা কর্মপরিচালনা করে এবং এই সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ ও সুপারিশ বিশ্ব পরিম-লে অত্যধিক সমাদৃত। যে পাঁচটি প্রধান নিয়ামক প্রশ্নের ভিত্তিতে বিশ্ব নেতৃত্বের সততার অবস্থান নির্ধারণ করার জন্য গবেষণা কর্মটি পরিচালিত হয়েছিল, তাদের প্রথম প্রশ্ন ছিল- সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে তিনি কি তার রাষ্ট্রের বাইরে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট করেছেন কিনা? দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল- ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ কতটুকু বেড়েছে? তৃতীয় প্রশ্ন ছিল- গোপন সম্পদ গড়েছেন কিনা। চতুর্থ প্রশ্ন ছিল- সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা। আর পঞ্চম প্রশ্নটি ছিল- দেশের জনগণ তার সম্পর্কে কি ভাবেন? বিশ্বের ১৭৩ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের কর্মকা- নিয়ে উল্লিখিত পাঁচটি প্রশ্নের ভিত্তিতেই তারা সততার বিশ্ব শীর্ষ পাঁচজনকে নির্ধারণ করেছেন যার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় স্থানে অধিষ্ঠিত। এই গবেষণা কর্মে উপস্থাপিত হয়েছে বিশ্বের সতেরোটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান শতকরা পঞ্চাশভাগ দুর্নীতিমুক্ত। এক শ’ নম্বরের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল পেয়েছেন ৯০ নম্বর, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং পেয়েছেন ৮৮ নম্বর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন ৮৭ নম্বর, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ পেয়েছেন ৮৫ নম্বর, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি পেয়েছের ৮১ নম্বর। বিশ্বপরিম-লে এভাবে অত্যধিক উঁচু নম্বর পেয়ে সততার তৃতীয় স্থান শুধু প্রধানমন্ত্রীর জন্য অহংবোধের উপহার নয়, এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদান, দুই লাখ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ ত্যাগ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ,পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের সকল শহীদান, একুশ আগস্টের শহীদান এবং সর্বোপরি পুরো বাঙালী জাতির দেশমাতৃকার জন্য আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার স্বীকৃতি এবং ধরিত্রী উপহার। উল্লেখ্য, পিপলস এ্যান্ড পলিটিক্সের গবেষণা প্রতিবেদনে এটিও প্রকাশ পেয়েছে যে, বাংলাদেশের আপামর জনগোষ্ঠীর শতকরা আটাত্তর ভাগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তাঁদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিপূর্ণ সৎ ও সকল ব্যক্তিগত লোভ-লালসার উর্ধে। তবে তাঁর সরকার বা সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী মহান সংসদে বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি মাথায় (সরকারপ্রধান) পচন নেই, যদি শরীরে (সরকারের মন্ত্রী) কোথাও একটু ঘা-টা হয় তা আমরা সারিয়ে ফেলতে পারব’। কী মহান দৃঢ়চেতা, নির্ভীক সাহসিকতা ও সত্য-সততার বিশ্বজয়ী মহীয়সী নেত্রী ও সফল রাষ্ট্রনায়ক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবিচল আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মবিশ্বাসী নেত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ রুদ্ধ বা স্তব্ধ করতে না পারার বার্তাটি প্রকৃত অর্থে অনুধাবনের এটিই উপযুক্ত সময়। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবনকে বাজি রেখে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সততা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে নিজের জীবনে অর্থ-সম্পদ, টাকা-পয়সা কী আছে না আছে, এ নিয়ে আমি কখনও চিন্তাও করি না। ওটা নিয়ে আমার কোন দুশ্চিন্তাও নেই। তাই নিজে কি পেলাম বা পেলাম না সেটি বড় কথা নয়; জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে কতটুকু কাজ করতে পারলাম সেটিই আমার কাছে সবচেয়ে বড়। সততাই আমার মূল শক্তি।’ জাতির পিতা যেভাবে ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালী জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, তারই সুযোগ্য তনয়া একই ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের সকলকে সঙ্গে নিয়ে ২০২১ সালে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার যে রোডম্যাপ বা রূপকল্প প্রণয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশের সকল স্তরের রাজনীতিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সকলো উদ্দেশে বিজয়ের মাসের এই আনন্দের শুভলগ্নে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করতে চাই সকল ধরনের অন্ধকার, পশ্চাদপদতা, অনগ্রসরতা, সাম্প্রদায়িকতা, কূপম-ূকতা এবং অপশক্তিকে পরাভূত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় উজ্জীবিত সকলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিরোধ, বিচ্ছেদ, বিভাজনকে নিধন করে নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করুন। কারণ, এখনও আমাদের বলতে ও বোধগম্য করার প্রয়োজন রয়েছে রবিঠাকুরের অমর, অক্ষয়, চিরঞ্জীব কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি- ‘এখনও রয়ে গেল আঁধার, এখনো রহিল বাধা, আর আঁধারে রেখো না, আমায় দেখতে দাও।’ আসুন নেত্রীর দীর্ঘায়ু, দেশের সার্বিক মঙ্গল এবং সত্যিকারের মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মহানস্রষ্টা যেন আমাদের প্রতি সদয় হোন। আজকের এই বিজয়ের মাসে এটুকুই প্রত্যাশা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু; জয় হোক শেখ হাসিনার। লেখক : উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×