স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নৈতিকতা পরিপন্থী কাজ করায় এই চিঠি দিয়েছে ইসি। নির্বাচনী হলফনামায় উক্ত সংসদ সদস্য প্রায় সাড়ে ৫৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিনের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি গত ৭ ডিসেম্বর দুদক থেকে নির্বাচন কমিশন বরাবর পাঠানো হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জনকণ্ঠকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর দুদক তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস জারি করে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে সংসদ সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ কর্তৃক দাখিলকৃত হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব দেন। কিন্তু এর আগে তিনি একই বছর এনবিআরের কর অঞ্চলে ৫৬ লাখ তিন হাজার ৮শ’ ৭৬ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ৩ লাখ তিন হাজার টাকার হেবা সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি। অর্থাৎ তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮শ’ ৭৬ টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে সালাহউদ্দিন আহমেদ ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮শ’ ৭৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। যা তিনি নির্বাচনী হলফনামায় প্রকাশ করেননি। কমিশন মনে করে, হলফনামায় তিনি অসত্য তথ্য দিয়ে নৈতিকতা পরিপন্থী কাজ করেছেন। তাই নির্বাচন কমিশনের সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর দুদক তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস জারি করে দুদক।
ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাইদ্দিন আহমেদ চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ মাঠে নিজের মেয়েকে রাজকীয়ভাবে বিয়ে দিয়ে আলোচনায় আসেন। এ সময় অভিযোগ ওঠে, এমপির অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েসহ দুই মেয়ের বিয়ে দেয়া হয় মহাধুমধাম করে। খরচ করা হয় কয়েক কোটি টাকা। বিয়েতে অতিথি ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার। জবাই করা হয়েছিল ৫০০ ছাগল।