ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রার্থী চূড়ান্ত

ঢাবি সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩ প্যানেল

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

ঢাবি সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩ প্যানেল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ২৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ৮০ জন প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। নির্বাচনে সৎ, যোগ্য এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রার্থীদের নিয়ে প্যানেল গঠন করেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’। এছাড়াও স্ব-স্ব প্যানেল নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্যানেল ‘প্রগতি পরিষদ’। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য নির্বাচনের মতো নয়। কারণ এই নির্বাচনে সারাদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলে নির্বাচনে তুমুুল লড়াই হবে। তাই এ নির্বাচনের মাধ্যমে সারাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা জানা যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২০(১)(কে) এবং প্রথম সংবিধির ৪৬ ধারা অনুযায়ী ঘোষিত তফসিল অনুসারে রেজিস্ট্রার দফতরের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি ঢাকার বাইরে ২৯টি কেন্দ্রে ও ১৩ জানুয়ারি ১৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। এছাড়া ২০ জানুয়ারি শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভোট নেয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন-২০১৮’তে অংশ নিয়েছেন গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। এ পরিষদে রয়েছেন শিক্ষাবিদ, অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ব্যাংকার, রাজনৈতিক, ডাক্তার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযোদ্ধা, কবি, অভিনেতা এবং সমাজসেবক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সুনাম অক্ষুণœ রাখা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ পরিষদ কাজ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ঐক্য পরিষদের একাধিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট হ্রাস, বিজয় একাত্তর হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, মুনীর টাওয়ার, শেখ রাসেল টাওয়ার, ৭ মার্চ ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ বিগত দিনে কাজ করেছে। এবার নির্বাচনে বিজয়ী হলেও এর ব্যতিক্রম হবে না। গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ৭ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়ন নিয়ে এ পরিষদ মাঠে নেমেছে। এর মধ্যে গণতান্ত্রিক আদেশ ১৯৭৩ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা। সিনেটের মাধ্যমে উপচার্য নিয়োগ দেয়া। শিক্ষা ও গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা। নতুন নতুন যুগোপযোগী বিভাগ, গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন, উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেটসহ অন্যান্য সুযোগ-সবিধা বৃদ্ধি করা। প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ডাকসু নির্বচানের উদ্যোগ নেয়া এবং সিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরে দুইটি সিনেট অধিবেশন আহ্বান করা। গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা হলেন, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, এ আর এম মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এ এইচ এম এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, এবিএম বদরুদ্দোজা, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মুক্তিযোদ্ধা এম. ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, এসএম বাহালুল মজনুন চুন্নু, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, নিজাম চৌধুরী, মিসেস মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (কবি মুহাম্মদ সামাদ), অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বারী, ব্যাংকার মোঃ আতাউর রহমান প্রধান, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ নাসির উদ্দিন, ড. মোঃ লিয়াকত হোসেন মোড়ল, রঞ্জিত কুমার সাহা, রামেন্দু (কৃষ্ণ) মজুমদার, অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।
×