ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন নেই

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৯ ডিসেম্বর ॥ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীদের কোন ভ্যাকসিন নেই। সাড়ে তিন কিলোমিটার পায়রা নদী পাড়ি দিয়ে জেলা শহরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভ্যাকসিন দিয়ে আসতে হয়। এতে প্রচ- দুর্ভোগ পোহাচ্ছে আমতলী-তালতলী উপজেলার মানুষ। আমতলী ও তালতলী উপজেলায় গত দুই মাসে তিন শতাধিক মানুষকে কুকুরে কামড়িয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। গত অক্টোবরে উপজেলার ঘোপখালী গ্রামে একই দিনে ২৫ জনকে কুকুরে কামড়িয়ে আহত করে। এর মধ্যে আবুল বাশারকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন করাতে না পারায় সে মারা গেছে। কুকুরে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জেলা শহরের হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়। উপায় না পেয়ে স্বজনরা রোগী নিয়ে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চলে যায়। জেলা শহরের হাসপাতালে স্বপ্ল মূল্যের ভ্যাকসিন দেড় থেকে দুই শত টাকায় কিনতে হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগীর স্বজনরা বাইরে থেকে উচ্চ মূল্যে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনছে। বাজারেও সব সময় ভ্যাকসিন থাকে না। ফলে বিপাকে পড়ে রোগী ও রোগীর স্বজনরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় দীর্ঘমেয়াদি এ চিকিৎসায় রোগীদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। রোগীর স্বজনরা কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডাঃ আবদুল মতিন বলেন, কুকুরে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় পড়ে না। আমার ২৭ বছরের চাকরি জীবনে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ পাইনি। এ ভ্যাকসিন পৌরসভায় থাকার কথা। আমতরী পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে জানােেগছে , গত ১ বছর ধরে পৌরসভায় কোন ভ্যাকসিন নেই। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ জানান গত এক বছর ধরে আমতলী পৌরসভায় কুকুরে কামড়ানো রোগীর কোন ভ্যাকসিন নেই। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জসিম উদ্দিন বলেন উপজেলা পর্যায়ে কুকুরে কামড়ানো রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই, স্বাস্থ্য বিভাগ শুধু জেলা পর্যায়ে সরবরাহ করে থাকে। তিনি আরও বলেন মানুষের দুর্ভোগ বিবেচনা করে উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হবে।
×