স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বারবার ডেকেও সাড়া মেলেনি, পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কারণ জানতে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল প্রধান কোচ চান্দ্রিকা হাতুরাসিংহেকে। তবে তিনি তখন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত তাই আসেননি। অবশেষে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হওয়ার পর শনিবার সকালেই বাংলাদেশে আসেন। তার সঙ্গে বিসিবি আলোচনা করেছে রাজধানীর একটি হোটেলে। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েই পদত্যাগ করেছেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ এবং সাকিব আল হাসানের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট না খেলতে যাওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাতুরাসিংহে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সবসম্পর্ক শেষ হয়েছে হাতুরাসিংহের। কারণ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম এ কোচ। পদত্যাগের চিন্তা-ভাবনা তার শুরু হয় এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে জাতীয় ক্রিকেট দল দেশে ফিরে আসে। আর ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও ৯ নবেম্বর তিনি বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন নির্দিষ্ট কোন কারণ না জানিয়ে। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ বিষয়ে জানান, ‘হাতুরাসিংহে তার পদত্যাগ নিয়ে আমাদের বলেছেন তিনি দলের ক্রিকেটারদের অখেলোয়াড় সুলভ আচরণে অসন্তুষ্ট ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শুরু থেকেই অসন্তুষ্টি ছিল। বিশেষ করে বলেছে যে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলতে না যাওয়াটাকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। আর বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্স নিয়েও খুব হতাশ ছিলেন। তার নাকি ধারণাতেই ছিল না যে বাংলাদেশ দল এমন পারফর্মেন্স দেখাতে পারে।’ তবে হাতুরাসিংহের এসব ব্যাখ্যাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর এখন সেটা নিশ্চিতের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন! অথচ এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিজের ইচ্ছে আর খেয়ালখুশি মতো কাজ করেছেন তিনি ৩ বছর।