ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাঁচশ’ শয্যার বিশেষায়িত ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের’ উদ্বোধন আগামী বছর সেপ্টেম্বরে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করবেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ বার্ন ইনস্টিটিউটটি নির্মিত হলে পোড়া রোগীদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ জনবল (ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য) তৈরি করা সম্ভব হবে। শনিবার রাজধানীর চানখাঁরপুলে ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব ফয়েজ আহমেদ, ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্তলাল সেন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিরউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত লে. কর্নেল শাকিল। তিনি জানান, ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল তিনটি বেজমেন্টসহ ১৮তলা মূল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৫২২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ইনস্টিটিউটে ইতোমধ্যেই তিনটি বেজমেন্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৬ তলার ছাদের জন্য কলাম ও সাটারিংয়ের কাজ চলছে। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরপরই যাতে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যায়, সেজন্য পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটির ওপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মোট ২ হাজার ৩০টি পদেও সম্মতিপত্র জিও পাওয়া গেছে বলে জানান লে. কর্নেল শাকিল। এদিকে পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ১২টি নতুন শয্যার উদ্বোধন করেন। এ সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগ চিরদিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। বিএনপিই বারবার সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করেছে। ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। প্রতিনিয়ত আমাদের নামে কুৎসা প্রচার করে থাকেন। এটি তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুৎসা ও মিথ্যা প্রচার করার মামলা হওয়া উচিত এবং তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আইসিইউতে আরও ২০টি বেড স্থাপন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম এই হাসপাতাল ২০টি আইসিইউ বেড নিয়েই জটিল রোগীদের সেবা দিচ্ছিল। এত বড় হাসপাতালে ১০০টি আইসিইউ বেড থাকা দরকার। এজন্য পরিচালকের অনুরোধে আজ আরও ১২টি বেড উদ্বোধন করা হলো। এবার নির্বাচনে না এলে আমও যাবে, ছালাও যাবে-নাসিম ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আসেন। এবার যদি নির্বাচনে না আসেন আমও যাবে, ছালাও যাবে। খেলা হবে মাঠে। মাঠ ছেড়ে পালাবেন না। মাঠের বাইরে যাবেন না। হুমকি- ধামকি দিয়ে লাভ হবে না। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মচারী সংসদের কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম প্রমুখ। বিএনপির উদ্দেশে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, আন্দোলনের ভয় দেখাবেন না। আন্দোলন কিভাবে করতে হয় আমরা জানি। আন্দোলন আমরাও করেছি। অনেক মার খেয়েছি। কিন্তু সরে যাই নাই। আপনারা সরে গেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রতিদিনই কথা বলেন। আর প্রতিদিনই মিথ্যা বলে। প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রমাণ নিয়েই বলেছেন। তথ্য না নিয়ে কোন কথা বলেন নাই। আপনাদের মাফ চাইতে হবে জনগণের কাছে। আমরা কেন মাফ চাব? বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এই সদস্য বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) আজ ন্যায়বিচারে কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তিনি আবার ন্যায়বিচারের কথা বলেন। কেন বলেন ন্যায়বিচারের কথা? আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচন বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। বাঙালীরা যদি ভুল করে তাহলে এদেশে আবার জঙ্গীবাদ, হাওয়া ভবনে দুর্নীতি শুরু হয়ে যাবে। হায়েনার দল ক্ষমতায় আসলে সব শেষ করে দিবে। তাই আগামী নির্বাচনে জয়ের কোন বিকল্প নেই।
×