ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বনানীতে সিদ্দিক হত্যার দুই আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

বনানীতে সিদ্দিক হত্যার দুই আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর আফতাবনগরে ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা বহুল আলোচিত বনানীতে জনশক্তি রফতানিকারক ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল। হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত আরও দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে আফতাবনগরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি দল অভিযান চালায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, অভিযানকালে সেখানে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা ডিবি পুলিশদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। খানিক পরে সেখান থেকে দুই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের দ্রুত ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা দুই যুবককেই মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নিহতদের একজন আল আমিন। অপরজন সাদ্দাম। তারা বনানীতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল। প্রসঙ্গত, গত ১৪ নবেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে বনানী বি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ১১৩ নম্বর বাসার নিচতলায় মেসার্স মুন্সী ওভারসিসে ঢুকে চার মুখোশধারী সন্ত্রাসী গুলি চালিয়ে এজেন্সি মালিক মোঃ সিদ্দিক হোসেন মুন্সীকে (৫৫) হত্যা করে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন মির্জা পারভেজ (৩০), মোখলেছুর রহমান (৩৫) ও মোস্তাফিজুর রহমান (৩৯) নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তা। চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-টির ঘটনায় গত ৫ ডিসেম্বর রাতে গুলশান মডেল থানাধীন কালাচাঁদপুর এলাকা থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ও ডিবি (উত্তর) বিভাগের যৌথ অভিযানে হেলাল উদ্দিন (৩৮) নামে একজন গ্রেফতার হয়। তার কাছ থেকে ৯ রাউন্ড তাজা বুলেটসহ সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বোরের একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার হয়। হেলালকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ৬ ডিসেম্বর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিআইজি মনিরুল ইসলাম জানান, হত্যাকা-ের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। হেলাল তার বন্ধু প্রবাসী এক ছাত্রদল নেতার নির্দেশে ভাড়াটিয়া ৫ পেশাদার খুনীসহ ওই রিক্রুটিং এজেন্সিতে হামলা চালায়। হামলার সময় হেলালসহ ৬ জনের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ঘটনার সময় হত্যার পরিকল্পনাকারী হেলাল উদ্দিন সহযোগী একজনকে নিয়ে দেয়ালের বাইরে অবস্থান নিয়েছিল। আর বাকি চার জন মুখোশ পরিধান করে ভেতরে ঢুকে। ঢুকেই তারা সিদ্দিক মুন্সীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যাকা- সংঘটিত করতে খুনীরা অন্তত ২৫ থেকে ২৬ রাউন্ড গুলি চালায়। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো হেলাল সরবরাহ করেছিল। হত্যার পর অস্ত্রগুলো হেলালের কাছেই জমা ছিল। হত্যায় সাদ্দাম ও পিচ্চি আল-আমিন নামে দুজন জড়িত বলে তদন্তে এবং হেলালের দেয়া তথ্য মোতাবেক জানা যায়। আর উদ্ধারকৃত পিস্তলটি ব্যবসায়ী সিদ্দিক হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল।
×