ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাটোরে ভূমিদস্যুদের হামলা, ভাংচুর ॥ ৬ কৃষক গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

নাটোরে ভূমিদস্যুদের হামলা, ভাংচুর ॥ ৬ কৃষক গুলিবিদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৮ ডিসেম্বর ॥ সিংড়ায় ভূমিদস্যুদের হামলায় ৬ জন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় ২০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল কাউয়াটিকরি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং নাটোর সদর হাসপপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি চলনবিলের সিংড়া উপজেলার সিংড়া-তাড়াশ-বারুহাশ রাস্তার চারমাথা মোড়ে খাল দখল করে ভূমিদস্যু সামাদ মৃধা মার্কেট নির্মাণ করার জন্য মাটি ভরাট করে। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে ওই খাল দিয়ে পানি বের না হওয়ার কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এরই প্রতিবাদে ভূমিদস্যু সামাদ মৃধা এবং জাল দলিলের হোতা হারুন কাজীর গ্রেফতার দাবিতে গত ৫ ডিসেম্বর স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে ভূমিদস্যু হারুন কাজী ও তার ভাড়াটে স্বশস্ত্র হজরতবাহিনী কাউয়াটিকরী গ্রামবাসীর ওপর প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা চালায়। এ সময় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা ঘণ্টাব্যাপী প্রকাশ্যে গুলিবিনিময় করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় নিরীহ অন্তত ২০ কৃষকের বাড়ি-ঘরে। এ সময় হজরতবাহিনীর গুলিতে রমিজুল করিম, আলম হোসেন, আইয়ুব আলী, ওহেদ আলী, আলমঙ্গীর, আব্দুর রাজ্জাক নামের ৬ কৃষক গুলিবিদ্ধসহ মোট ১২ জন আহত হয়। এছাড়া কাউয়াটিকরি গ্রামের ফরিদ আলী, রফিকুল ইসলাম, ওহেদ আলী, ইউসুফ হোসেন, হামিদ হোসেনসহ অন্তত ২০ কৃষকের বাড়ি-ঘরে ভাংচুর করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে সিংড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিকেল ৫টায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভৈরব আহত ৩০ নিজস্ব সংবাদদাতা ভৈরব থেকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পযন্ত ভৈরবে ভবানিপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে । এ সময় উভয়পক্ষের ২০-২৫টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে । তিন দফা পুলিশ সংঘর্ষ রোধ করতে ব্যর্থ হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য এনে রবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৪০ বছর ধরে এলাকার সাবেক জয়নাল মেম্বার সমর্থক ও ডাঃ হুমায়ুন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। এরই জের ধরে সকালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে চলা সংর্ঘষ বিকেল পযন্ত চলে। পুলিশ সংঘর্ষ রোধ করতে গিয়ে ৩ দফা পিছু হটে। পরে অতিরিক্ত শক্তি যোগান দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ বেশ কিছু রবার বুলেট ছোড়ে। আহতদের মধ্যে রফিক মিয়া, মিষ্টু, হেলেনা বেগম, স্বপন, রুহুল আমিন, মাসুদকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং গুরুতর আহতদের মধ্যে মিজান, আলমগীর, রেফায়েত, মহসিনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক-হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
×