ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এ মাসেই মন্ত্রিসভায় উঠছে

তথ্যপ্রযুুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও মানুষকে সুরক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যপ্রযুুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও মানুষকে সুরক্ষা

ফিরোজ মান্না ॥ তথ্যপ্রযুক্তির জগতকে নিরাপদ করতে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নামের একটি আইন এ মাসেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও নতুন আইন সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেবে। আইনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি জগতের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও দৃঢ় হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সংক্রান্ত আইনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। সূত্র জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে চলে এসেছে। এই অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার গোটা দেশের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসছে। ইন্টারনেট এখন গোটা বিশ্বকে একটি গ্রামে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সরকার চাইছে সব নাগরিকের হাতে এ সুবিধা তুলে দিতে। এক্ষেত্রে একের পর এক ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট’ নামে একটি আইনের অনুমোদনের পর এ আইনের আওতায় দেশের ডিজিটাল সাইবার নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল’ নামে একটি কার্যকর টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার। পাশাপাশি ‘সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি’ নামে পৃথক একটি সংস্থাও গঠন করা হবে। তৈরি করা হবে কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব। সংস্থাগুলো গঠন হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তাও সুদৃঢ় হবে। তখন বাইরে থেকে কেউ সহজেই হ্যাক করতে পারবে না। চুরি হবে না দেশের নানা তথ্য। হ্যাকিংমুক্ত সাইবার জগত তৈরি করতে পারাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পক্ষ থেকে সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেছেন। পাশাপাশি ডিজিটাল এ্যাক্ট প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ দিকে। এই আইন এ মাসের মধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সরকারী ও বেসরকারী সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। পরে এটি পৃথক সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। এ সংস্থা সব সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারি করবে। পাশাপাশি হ্যাকার গ্রুপ কোন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে কিনা তা সর্বদা পর্যবেক্ষণ করবে। নিয়মিত এসব মনিটর করা হলে এতে সাইবার অপরাধীদের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। এরপরও যদি সরকারী ও বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের শিকার হয় তখন তারা তাৎক্ষণিক এই সংস্থার কাছে রিপোর্ট করে সাহায্য চাইতে পারবে।
×