ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে ১২ বছরে ৪৯৩ অগ্নিকান্ড

প্রকাশিত: ০৩:২৫, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

কেরানীগঞ্জে ১২ বছরে ৪৯৩ অগ্নিকান্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ৮ ডিসেম্বর ॥ উপজেলায় গত ১২ বছরে হাইরাইজ বিল্ডিং, শপিংমল, ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় ৪ শ’ ৯৩টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ২০ কোটি টাকার মালামাল। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাইরাইজ বিল্ডিং, মার্কেট ও কারখানাসহ ৪৬টি প্রতিষ্ঠান। উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। ওই বছরেই ২৯টি অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। তখন ফায়ার সার্ভিসের জনবল ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা পুরোপুরি সক্রিয় ছিল না বিধায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেনি। এছাড়া ২০০৫ সালে ঘটে ২৫টি, ২০০৬ সালে ৩০টি, ২০০৭ সালে ২৭টি, ২০০৮ সালে ২০টি, ২০০৯ সালে ৪২টি, ২০১০ সালে ৪১টি, ২০১১ সালে ৪৯ টি, ২০১২ সালে ৫৬টি, ২০১৩ সালে ৫১টি, ২০১৪ সালে ৩৪টি, ২০১৫ সালে ৫৫টি ও ২০১৬ সালে ৪৪টি অগ্নি কা-ের ঘটনা ঘটে। সর্বমোট ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪ শ’ ৯৩টি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সজিব সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলায় একটি জনবহুল এলাকা এখান প্রায় ২৫ লাখ লোকের বসতি। কিন্তু এখানে কেউ বাড়ি নির্মাণ, শিল্প-কারখানা, শপিংমলসহ কোন বহুতল ভবনই পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলেনি এবং কোথাও কোন ধরনের অগ্নি নির্বাপকের ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া প্রতিটি এলাকার রাস্তা ও গলি অতি সরু । কোথাও কোন অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটলে দমকল বাহিনীর গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাই অগ্নি সংযোগ হলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তিনি আরও বলেন, উপজেলাটিতে তৈরি পোশাক কারখানা ও শো-রুম রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি। কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়াই কারখানা, মার্কেট ও ভাড়াটে বাড়িগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তাই সেখানে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। ইতোপূর্বে অর্ধশতাধিক কল-কারখানায় আমরা নোটিশ পাঠিয়েছি যাতে করে ফায়ার সার্ভিসের নীতিমালা বর্হিভূত ভবন নির্মাণ এবং ফায়ার সেফ্টি প্লান বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া উপজেলার শুভাঢ্যা, আগানগর, জিনজিরা, কালিন্দী, বাস্তা, ও শাক্তা ইউনিয়নকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
×