ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০২:২৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

সাবেক আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্ডেজ ডি কির্চনারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতারণার অভিযোগ এনে তাকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একজন ফেডারেল বিচারক। তার বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আয়ার্সের এক ইহুদী কমিউনিটি সেন্টারে বোমা হামলার তদন্ত কাজে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে আনা হয়। খবর রয়টার। ২৩ বছর আগে সংঘটিত এই বোমা হামলার পেছনে ইরানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। এতে ৮৫ জন নিহত হয়। কংগ্রেসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফার্নান্ডেজ তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাবেক প্রেসিডেনট ক্রিস্টিনা ফার্নান্ডেজ ডি কির্চনার বর্তমানে কংগ্রেসের একজন সিনেটর। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি সাজানো মামলা, যার আদৌ কোন ভিত্তি নেই। একজন সিনেটর হওয়ায় কির্চনারকে গ্রেফতারের পথে পার্লামেন্টারি বাধ্যবাধকতা থাকায় এ মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। ফেডারেল বিচারক ক্লডিও বোনাডিও সাবেক প্রেসিডেন্টের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেক্টর টিমারমেনকে গৃহবন্দী করার আদেশ দেন। টিমারমেনও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিচারপতি ক্লডিও বোনাডিওর ৪৯১ পৃষ্ঠার এই রুলিংয়ে কির্চনার ও টিমারমেন ছাড়াও কার্লোস জানিনি ও লুইস দ্য এলিয়া নামে দুই ঘনিষ্ঠ সহচরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়। লুইস দ্য এলিয়ার পক্ষে নিযুক্ত কৌঁসুলি অড্রিয়ান অলবোর ডেল প্লাটা রেডিওকে দেয়া বক্তব্যে মন্তব্য করেন, বিচারক বোনাডিওর কাছে আইন, অধিকার ও বিচারের প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই। পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককেই তিনি তার সামনে এনে দাঁড় করাবেন। এর আগে আর্জেন্টিনার উচ্চতর আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আলবার্তো নিসম্যান ১৯৯৪ সালের বোমা হামলা ঘটনায় ইরানের সংশ্লিষ্টতা এবং পর্দার অন্তরালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনার কোন ভূমিকা ছিল কিনা তা তদন্ত করার দায়িত্ব পান। কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টা আগে তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। নিজ ফ্ল্যাটের বাথরুমে তার বুলেটবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে মৃত্যুর আগে নিসম্যান কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ইরানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং খাদ্যের বিনিময়ে ইরানের তেল পাওয়ার লক্ষ্যে ক্রিস্টিনা ফার্নান্ডেজ বোমা হামলার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
×