ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভবিষ্যতে সর্বাত্মক পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি সম্ভব

প্রকাশিত: ০২:২৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ভবিষ্যতে সর্বাত্মক পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি সম্ভব

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যা কাজ করেন তারা দাবি করেছেন, সর্বাত্মক পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি সম্ভব। রবিবার পরমাণু অস্ত্রবিরোধী গ্রুপটি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছে। এএফপি। আগামী ১০ ডিসেম্বর নোবেল শান্তি পুরস্কারের পদক প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষে ইন্টারন্যশনাল ক্যাম্পেন টু এ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনসের (আইসিএএন) প্রধান বিয়েট্রিস ফিন বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ হলে পরমাণুসহ অন্যান্য ক্ষতিকর অস্ত্রের ব্যবহার রাতারাতি কমে আসবে। তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র ইতিহাসের বিষয়বস্তু হয়ে থাকুক, এটি তারা চান। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে। পরমাুণ অস্ত্র নিয়ে দুদেশের মধ্যে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গত কয়েক দশকে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণেরও হুমকি দিয়েছেন। এর ফলে ওই অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে আইসিএএন এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছে। আইসিএএন পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ ইস্যু নিয়ে গত এক দশক যাবত কাজ করে আসছে। চলতি বছরে জুলাইয়ে জাতিসংঘ পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের উদ্দেশ্যে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এটি আইসিএএনের জন্য একটি বড় অর্জন। ১২২ টি দেশ ওই চুক্তিতে সই করেছে। পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো এটি সই করেনি বরং এর বিরোধিতা করেছে। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও ফিন বলেন, পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে জনমত তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে এটি এক বড় অগ্রগতি। জেনেভায় আইসিএএনের অফিস থেকে তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে সাক্ষাতকারটি দেন। তিনি বলেন, ধূমপান বিষয়ে এখন মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন। অনেক অফিসের ভেতর এখন ধূমপান করা নিষিদ্ধ। ঠিক একইভাবে পরমাণু অস্ত্রের বিষয়েও সচেতনতা তৈরি হবে। তিনি বলেন, পরমাণু নিষিদ্ধকরণ চুক্তি এবং আইসিএএনের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া এই দুটো ঘটনা পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে জনমত তৈরিতে সহায়তা করবে। উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের ফলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা আগের চেয়ে বেড়েছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে ফিন বলেন ব্যক্তি নয় বরং অস্ত্রই আসল উদ্বেগের বিষয়।
×