ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাইগ্রেনের চিকিৎসায় এ্যান্টিবডি

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

মাইগ্রেনের চিকিৎসায় এ্যান্টিবডি

মাইগ্রেন শুধু সামান্য মাথা ব্যথা নয়। এই ব্যথা খুবই তীব্র এবং সহজে ছাড়তেও চায় না। সুখবর দিচ্ছে ব্রিটেনের কিংস কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। এই ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা মাইগ্রেনের একটি চিকিৎসা উদ্ভাবন করেছেন। বলা হচ্ছে, এর ফলে যারা বহুদিন ধরে এই যন্ত্রণায় ভুগছেন তারা হয়ত মুক্তি পেতে পারেন। দুটো ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় মাইগ্রেনের এই চিকিৎসায় বড় রকমের সাফল্য পাওয়ারও দাবি করছেন তারা। বলছেন, একটি পরীক্ষায় মাইগ্রেন ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। শুধুমাত্র মাইগ্রেন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে করা চিকিৎসা এটিই প্রথম। গবেষকরা বলছেন, এ সময় মস্তিষ্কে বিভিন্ন কেমিকেলের কার্যক্রম পরিবর্তনের জন্য এন্টিবডি ব্যবহার করা হয়। তবে তারা বলছেন, এই চিকিৎসার দীর্ঘমেয়াদী কি প্রভাব- তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের একটি রাসায়নিক পদার্থ যা সিজিআরপি নামে পরিচিত, সেটি এই মাইগ্রেনের জন্য দায়ী। এই কেমিকেলকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এন্টিবডি তৈরি করতে কাজ করছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। এখন কিংস কলেজ হাসপাতালে এরকম দুটো এন্টিবডির ওপর পরীক্ষা চালানো হলো। একটি এন্টিবডি এপিসডিক মাইগ্রেন আছে এরকম প্রায় এক হাজার মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পরীক্ষার আগে তাদের মাইগ্রেন ছিল মাসে গড়ে প্রায় আট দিন। তাদের শরীরে এই এন্টিবডির ইঞ্জেকশন দেয়ার পর দেখা গেছে মাইগ্রেনে ভোগার দিন অর্ধেক কমে গেছে। আরেকটি এন্টিবডি এগারোশরও বেশি ক্রনিক মাইগ্রেনে ভুগছেন এরকম রোগীর শরীরে ব্যবহার করা হয়। দেখা যায়- তাদের ৪১ শতাংশের মাইগ্রেনে ভোগা দিনের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন যিনি, সেই প্রফেসর পিটার গোডসবাই বলেছেন, এটি একটি বড় ঘটনা, কারণ এ থেকে মাইগ্রেন ও তার চিকিৎসা সম্পর্কে আরও ভাল করে জানা যাচ্ছে। এতে মাইগ্রেনের সময় এবং তীব্রতা দুটোই কমে গেছে। তিনি জানান, চিকিৎসার পর পাঁচ শতাংশ মানুষ এই যন্ত্রণা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেয়েছেন। তবে অনেকেই বলছেন, এসব এন্টিবডি ব্যবহারের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সে কারণে ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া খুবই জরুরী। সূত্র : ডয়েচ ভেলে, বিবিসি
×