ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জিতেও দুইয়ে রিয়াল, কুটিনহোর হ্যাটট্রিকে শেষ ষোলোয় লিভারপুল

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

জিতেও দুইয়ে রিয়াল, কুটিনহোর হ্যাটট্রিকে শেষ ষোলোয় লিভারপুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে জয় দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপরও অবশ্য গ্রুপের সেরা হতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। গ্যালাক্টিকোদের ছাপিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। বুধবার রাতে শেষ গ্রুপ ম্যাচে রিয়াল ৩-২ গোলে হারিয়েছে আগেই বাদ পড়া বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। আরেক ম্যাচে টটেনহ্যাম ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে এ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার বিরুদ্ধে। এই গ্রুপে ছয় ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে রিয়াল। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টটেনহ্যাম। দু’টি দল আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে। ‘জি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোর টিকেট পেয়েছে তুরস্কের বেসিকটাস ও পর্তুগালের পোর্তো। শেষ ম্যাচে বেসিকটাস ২-১ গোলে লাইপজিগকে ও পোর্তো ৫-২ গোলে হারিয়েছে মোনাকোকে। ‘্এফ’ গ্রুপে টানা পাঁচ ম্যাচ জেতা ম্যানচেস্টার সিটি প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে। সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্বে উঠে গেছে শাখতার ডোনেস্ক। আর ফেয়েনর্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ইতালির নেপোলি। কিছুটা শঙ্কা ছিল লিভারপুলের। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট স্টেজে উঠেছে ইংলিশ পরাশক্তিরা। শেষ ম্যাচে দ্য রেডরা ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্পার্টাক মস্কোকে। লিভারপুলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা কুটিনহো। রিয়ালের জয়ের রাতে রেকর্ড গড়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে সহজে জয় পায়নি চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে অবশ্য শুরুতেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৮ ও ১২ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন বোর্জা মায়োরাল ও রোনাল্ডো। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন পিয়েরে এমরিকে আবামেয়াং। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৪৯ মিনিটে আরও একটি গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান ডর্টমুন্ডের এই স্ট্রাইকার। ৮০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে ছিল এই ২-২ গোলের সমতা। হয়তো ড্রয়ের শঙ্কাই করছিলেন রিয়ালের সমর্থকরা। কিন্তু ৮১ মিনিটে গোল করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন লুসাক ভারকুয়েজ। গ্রুপের আরেক ম্যাচে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অষ্টম মিনিটে ফার্নান্দো লরেন্টের গোলে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। বিরতির আট মিনিট আগে সোন হিয়ং-মিনের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দলটি। আর ৮০ মিনিটে টটেনহ্যামের হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন জর্জেস-কেভিন এন’কোডু। এ্যাপোয়েল কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আসরে পাঁচটি ইংলিশ ক্লাব শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয়ার কীর্তি গড়েছে। টটেনহ্যামের আগে ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি ও লিভারপুল নিজ নিজ গ্রুপ থেকে নকআউটে জায়গা করে নিয়েছে। একের পর এক জিতেই চলছিল ম্যানচেস্টার সিটি। হার কি জিনিস সেটি যেন ভুলেই গিয়েছিল পেপ গার্ডিওলার দল। অবশেষে দলটিকে ভুলতে বসা হারের ‘স্বাদ’ উপহার দিয়েছে শাখতার। ঘরের মাঠে খেলার ২৬ মিনিটে বার্নার্ডের গোলে এগিয়ে যায় শাখতার। ছয় মিনিট পর ইসমাইলির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইউক্রেন চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে সার্জিও এ্যাগুয়েরোর গোল শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। এদিকে কুটিনহোর হ্যাটট্রিকে উৎসব করেছে লিভারপুল। এ্যানফিল্ডে লিভারপুলের গোল উৎসবের দিনে সাডিও মানে দুটি এবং মোহামেদ সালাহ ও রবার্টো ফিরমিনো করেন একটি করে গোল। ঘরের মাঠে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে কুটিনহোর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৫ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান তারকার দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রেডসরা। তিন মিনিট পর ফিরমিনোর গোলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়। বিরতির পর গোলোৎসবে যোগ দেন মানে। ৪৭ মিনিটে এই সেনেগাল তারকার গোলে স্কোরলাইন ৪-০ করে লিভারপুল। তিন মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কুটিনহো। এরপর মানে ও সালাহর গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্গেন ক্লপের দল।
×