ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খেলাধুলায় শিশুদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

খেলাধুলায় শিশুদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদানের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। মোট তিনটি শিক্ষা কর্মসূচীতে এই হার ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। উপবৃত্তি বন্ধ করা হলে শিশুদের ঝরে পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার ‘শিশু বাজেট ২০১৭-১৮ : প্রতিশ্রুতি ও উদ্বেগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, উপবৃত্তি প্রদানের কারণে গ্রামে ও চরাঞ্চলে শিক্ষার হার বেড়েছে। কারণ গ্রামের বেশিরভাগ শিশুই উপবৃত্তির সহায়তায় বিদ্যালয়ে আসছে। তাই উপবৃত্তি প্রদানের হার কমানো যাবে না। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেভ দ্য চিলড্রেন এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। সেভ দ্য চিলড্রেনের ডিরেক্টর লাইলা খন্দকারের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন চাইল্ড পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পীকার ফেরদৌস নাঈম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বাজেট কমে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়, তবে সার্বিকভাবে বাজেট বেড়েছে। শিশুদের বাজেট বরাদ্দ হয় তবে কেউ প্রকল্প দিচ্ছে না বলে অর্থ ছাড় হচ্ছে না। সামগ্রিক বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়নে মনিটরিং বাড়াতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচী সম্প্রসারণে সরকার কাজ করছে। শিশুদের প্রাইভেট পড়ার প্রতি মনোযোগী না হয়ে খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। সেমিনারে ধারণাপত্র তুলে ধরেন সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ আশিক ইকবাল। তিনি বলেন, শিশুকেন্দ্রিক প্রকল্প ও কর্মসূচী বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রচেষ্টায় বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই মন্ত্রণালয়গুলোর সার্বিক বরাদ্দের প্রবৃদ্ধির চেয়ে শিশুকেন্দ্রিক কার্যক্রমের বরাদ্দের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। সেমিনারের ধারণাপত্রে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য ৫৬ হাজার কোটি টাকার পৃথক শিশু বাজেট দেয়া হয়। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতসহ কয়েকটি খাতে বরাদ্দ বাড়লেও শিক্ষা খাতে কমেছে। এতে ভবিষ্যতে শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। শিশুকেন্দ্রিক বাজেট গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকায়, প্রবৃদ্ধির হার হিসেবে যা ২১.৪ শতাংশ।
×