ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

ঝলক

৩৭ লাখ বছর আগের মানব-কঙ্কাল প্রায় ৩৭ লাখ বছরের পুরনো মানব কঙ্কালের খোঁজ মিলল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে পায়ের গোড়ালির চারটি হাড় নিয়েই গবেষণা শুরু করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। প্রায় ২০ বছর পর বুধবার সেই খোঁজ মিলল। বিবর্তন সম্পর্কিত জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন পালক যোগ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। প্রায় ৩৭ লাখ বছরের পুরনো অস্ট্রালোপিথেকাস জনগোষ্ঠীর ‘লিটল ফুট’ প্রজাতির পরিপূর্ণ কঙ্কাল উদ্ধারের চেষ্টায় সফল হলেন তারা। বিলুপ্ত আদিম মানব জাতির জীবাশ্ম উদ্ধারের চেষ্টায় এ এক নতুন অধ্যায়। দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার জনবহুল শহর জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে স্টার্কফোনটেইন গুহায় প্রথম খোঁজ মিলেছিল ‘লিটল ফুটে’র। তখন তা ছিল কয়েকটি হাড়ের সমষ্টিমাত্র। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, ওই হাড় কয়েক লাখ বছরের পুরনো আদিম মানব প্রজাতির। ১৯৯৫-এ সেই হাড়গুলোর নাম দেয়া হয় ‘লিটল ফুট’। তারপর কেটে গেছে বহু বছর। পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। জানা যায়, হাড়গুলো একটি ছোট্ট মেয়ের। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, ওই প্রজাতির মানুষেরা তখন সবে দু’পায়ে হাঁটার চেষ্টা চালাচ্ছে। উইটওয়াটারস্ট্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জীবাশ্মবিদ রন ক্লার্ক বলেন, ‘হাড়গুলো খুবই নরম এবং ভঙ্গুর। কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক। এই হাড়ই আমাদের পূর্বপুরুষের ইতিহাস জানতে সাহায্য করবে।’ একই মত তার দলের অন্য গবেষকদেরও। রন আরও জানিয়েছেন, বছর কেটে গেছে এই জীবাশ্ম উদ্ধারের চেষ্টায়। তাছাড়া সময় লেগেছে হাড়গুলো পরিষ্কার এবং খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে। গবেষকরা মনে করেন, এই জীবাশ্মের পুরোটাই খুঁজে বের করে আদিম জাতির রহস্যের উদঘাটন করা হবে। তারপরই শুরু হয় খোঁজ। প্যালিওনটোলজিক্যাল সায়েন্টিফিক ট্রাস্টের অন্যতম প্রধান গবেষক রবার্ট ব্লুমেনসাইন বলেন, ‘এই আবিষ্কার আফ্রিকার কাছে খুবই গর্বের বিষয়। তবে শুধু আফ্রিকা নয়, প্রাচীন এই কঙ্কাল মানবসভ্যতার অনেক রহস্যের সমাধান করবে। এই খোঁজ আধুনিক প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তির জয়। -ইয়াহু নিউজ কেবি-১৮বি গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা সৌরজগতের বাইরে স্বল্প পরিচিত একটি গ্রহে প্রাণ অর্থাৎ এ্যালিয়েন থাকার সম্ভাবনা প্রবল বলে নতুন একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘কেবি-১৮বি’ নামে পরিচিত দূরবর্তী এই গ্রহ সম্ভবত একটি ‘সুপার পৃথিবী’। পাথুরে এই গ্রহটি অনেকটা পৃথিবীর মতোই। ‘কেবি-১৮বি’ গ্রহের অবস্থান এর নক্ষত্রের বসবাসযোগ্য অঞ্চল অর্থাৎ হেবিটেবল জোনে। গ্রহটি তার নক্ষত্রকে যে দূরত্ব থেকে আবর্তন করে, সে স্থানের তাপমাত্রা তরল পানির অস্তিত্ব থাকার উপযোগী। জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় একটি মূল উপাদান হচ্ছে তরল পানির উপস্থিতি। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এবং ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিলের বিজ্ঞানীদের নতুন এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, কেবি-১৮বি গ্রহটির প্রতিবেশী রয়েছে, যার নাম কেবি-১৮সি। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, সৌরজগতের বাইরে নতুন আবিষ্কৃত কেবি-১৮সি গ্রহটি দ্বিতীয় ‘পাথুরে পৃথিবী’ হতে পারে, যদিও এত দূরবর্তী গ্রহে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিলের প্রধান গবেষক রায়ান ক্লাওটিয়ার বলেন, ‘কেবি-১৮বি এর ভর এবং ঘনত্ব পরিমাপে সক্ষম হওয়াটা অসাধারণ ছিল কিন্তু দূরবর্তী নতুন একটি গ্রহ আবিষ্কার করাটা সৌভাগ্য এবং উত্তেজনাপূর্ণ একটি ব্যাপার ছিল।’ চিলির লা সিলা অবজারভেটরিতে অবস্থিত এএসও’র ৩ দশমিক ৬ মিটার (১২ ফুট) টেলিস্কোপ থেকে গবেষকরা ব্যবহৃত তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। কে২-১৮ নক্ষত্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল টেলিস্কোপটির প্লানেট-ফাইন্ডিং হাই এ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্লানেট সার্চার যন্ত্রের মাধ্যমে। নক্ষত্রটিকে পর্যালোচনার মাধ্যমেই গবেষকরা কেবি-১৮বি গ্রহটির পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা করেন যা পৃথিবীর মতোই পাথুরে গ্রহ। গবেষকদের মতে, কেবি-১৮বি গ্রহটি হয়তো গ্যাসীয় বায়ুম-লসম্পন্ন পাথুরে গ্রহ যা পৃথিবী থেকে বড়, নয়তো তরল পানির গ্রহ যার ওপরে বরফের পুরু স্তর রয়েছে। অন্যদিকে নতুন আবিষ্কৃত কে২-১৮সি গ্রহটি এর নক্ষত্রের কাছাকাছি অবস্থিত এবং সম্ভবত গ্রহটির পরিবেশ খুবই গরম কিন্তু এটিকেও কেবি-১৮বি গ্রহের মতো ‘সুপার পৃথিবী’ হিসেবে অনুমান করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, ২০১৯ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সর্বাধুনিক জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ চালু হওয়ার পর কেবি-১৮বি গ্রহটি পর্যালোচনার প্রধান লক্ষ্য হতে পারে। Ñডেইলি মেইল
×