ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

উবাচ

শেষ বলে কিছু নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথায় কথায় স্বৈরাচার বলে গাল দেয়া এরশাদের প্রতি হঠাৎই অন্যভাষায় কথা বলছে বিএনপি। নির্বাচন এলেই রাজনীতিতে স্বৈরাচারের কদর বাড়ে। এখন প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে জাতীয় পার্টি। আর একেবারে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বলছে নির্বাচনের আগে এরশাদের সঙ্গে জোট হলেও হতে পারে। এটা অসম্ভব কোন বিষয় নয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে কোন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ‘নির্বাচনী ঐক্য নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ হচ্ছে’ বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরের বিষয়ে মির্জা ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির জোট গঠনের সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের চিন্তাশক্তির জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এটা পুরোপুরি অনুমান নির্ভর। হবে কি হবে না, তা ভবিষ্যত বলবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয় চেয়ারপার্সনকে নিয়ে আদালত থেকে ফেরার পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বিচারে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙ্গল আগুন দিল। সাধারণ মানুষের কষ্টের টাকায় কেনা গাড়ির ওপর এত রাগ কেন? কোন রাজনৈতিক দলের এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরও বিএনপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাদের নেতাকর্মীদের দোষ নেই। পুলিশই উল্টো তাদের উস্কানি দিয়েছে। পুলিশ উস্কানি দিলে সংঘর্ষতো পুলিশের সঙ্গে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাড়ির ওপর এত রাগ কেন? দেশে এভাবে বহুবার গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছে আগুনও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর ক্ষতিপূরণ কেউ কোনদিন পায়নি। এসব মামলার বিচারও হয় না বছরের পর বছর। তবে এবার সড়ক এবং সেতুমন্ত্রী বলেছেন, সহিংসতার জবাবে সরকার কঠোর হবে। তিনি বলেন, বিএনপি রাজপথে ফের সহিংসতা শুরু করলে সে অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। পরিস্থিতি যে রকম রূপ নেবে... একটা কথা আছে না, ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’; পরিস্থিতি যেভাবে দৃশ্যমান হবে জবাবটাও সে রকম হবে। চান্স সম্পাদক স্টাফ রিপোর্টার ॥ আকস্মিক পত্রিকা কিনে সম্পাদক হয়ে ওঠেন মাহমুদুর রহমান। এখনও তিনি সেই পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করেন। যদিও তাকে সম্পাদক হিসেবে অন্য সম্পাদকরা মানতে চান না বলে তিনি নিজেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন। কিন্তু তার মুক্তির দাবিতে সম্পাদকরা একত্রিত হয়ে বিবৃতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু এর প্রতিদানে মাহমুদুর রহমান উল্টো সম্পাদকদের লেখাপড়ার সনদ খুঁজে বসলেন। তার শিক্ষাগত জীবনের কথা তুলে ধরে বলেন, অনেক পেশাদার সম্পাদকের আমরা যদি সার্টিফিকেট খুঁজতে যাই তাহলে তাদের সার্টিফিকেট খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে, তারা কোথায় কতটুকু পড়াশোনা করেছেন। যাদের কোন সার্টিফিকেট খুঁজে পাওয়া যাবে না, তারা হলেন পেশাদার সম্পাদক। এই হলো বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থা। তিনি বলেন, আমি বুয়েটের ছাত্র ছিলাম, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্র ছিলাম, আমি জাপানে পড়াশোনা করেছি, কিন্তু আমি চান্স সম্পাদক। মাহমুদুর রহমানের ভাষায় দেশের সব গণমাধ্যম নাকি স্বেচ্ছা পরাধীনতা স্বীকার করেছে। সেখানে নাকি কেউ সত্যি কথাটুকু উচ্চরণ করতে সাহস পায় না। তাহলে কি রাতের টকশো না দেখেই ঘুমিয়ে পড়েন মাহমুদুর রহমান।
×