ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারপতি মানিকের বক্তৃতা

সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের ২শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের ২শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের এক হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ আছে বলে অভিযোগ করেছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, ‘তিন মাস পর পর সৌদি আরবের বিনিয়োগ থেকে মুনাফার টাকা পায় জিয়া পরিবার। এই দস্যুরাই দেশে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। আমি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার গ্রেফতার দাবি করছি।’ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিদেশে পাচার করা অর্থসম্পদ দেশে ফেরত আনার দাবীতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। মানববন্ধনে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সৌদি আরবের রাজা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ফলে তিনি তার ১১ ভাইকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতারও করেছেন। তাদের মধ্যে দুই জন সুনির্দিষ্ট করে জানিয়েছেন, সৌদি আরবের বিভিন্ন ব্যবসায় তারেক রহমান, খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার এবং ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিনিয়োগ আছে। এই টাকার পরিমাণ এক হাজার ২শ’ কোটি ডলার। এর সঙ্গে ৮০ দিয়ে গুণ করলে যে টাকা হয় সেই পরিমাণ টাকা তাদের সেখানে রয়েছে। সেখান থেকে তিন মাস অন্তর এই টাকার মুনাফা পায় জিয়া পরিবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘সৌদিতে জিয়া পরিবারের বিনিয়োগের খবর কিন্তু প্রথমে আলজাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। আমি নিজে ওই প্রতিবেদন দেখেছি। এছাড়া লন্ডনভিত্তিক গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত জিয়া পরিবারের বিনিয়োগের প্রতিবেদনও পড়েছি। পরে আমাদের দেশের কয়েকটি পত্রিকায়ও এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। জিয়া পরিবারের কেউ কিন্তু এখনও পর্যন্ত বলেনি খবরটি মিথ্যা।’ সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের রক্ত পানি করা এক হাজার ২শ’ কোটি ডলার তারা সৌদিতে বিনিয়োগ করেছে। এর আগেও তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ৮০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ ওঠে। জনগণের রক্ত পানি করা এই টাকা এভাবে বিদেশে পাচার সহ্য করা যায় না। তাই আমি সরকারের কাছে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে অনুরোধ, দ্রুত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দস্যুরা আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ক্ষমতায় আসতে চায়। এদেশের জনগণ কখনই তাদের ক্ষমতায় আসতে দেবে না। দেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।’ খালেদা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে দেশকে দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করে দেশের মানুষকে বিশ্ববাসীর কাছে লজ্জা এবং ঘৃণার পাত্রে পরিণত করেছিলেন। এখন বেগম জিয়া নিজেই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ড. হাছান বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সৌদি যুবরাজদের মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে। সৌদি আরবে যে ১১ জন যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুইজন স্বীকার করেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তৎকালীন সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে তারা অর্থ পেয়েছেন তাদের মধ্যে বেগম জিয়া, তার পুত্র তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো এবং বেগম জিয়ার ভাই সাঈদ ইসকান্দার রয়েছেন। এ সময় খালেদা জিয়ার অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনার দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যেভাবে সিঙ্গাপুর থেকে আরাফাত রহমান কোকোর টাকা ফেরত আনা হয়েছে, যেভাবে তারেক রহমানের টাকা ফেরত আনা হয়েছে। একই পদ্ধতিতে বেগম জিয়ার বিরদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে যোগাযোগ করে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই সম্পত্তির বিক্রীত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
×