ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা

রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ নেই

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ নেই

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। এছাড়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গত এক সপ্তাহে নতুন করে দেড় হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআর-এর ডেপুটি হাইকমিশনার কেলি ক্লেমেন্টস এসব তথ্য জানান। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআর-এর ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও মানসিক আঘাতের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন। এসব শরণার্থীদের অনেকেই পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছেন। তাদের অনেকেরই বাড়ি-ঘর ও গ্রাম ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তাই তাদের ফিরে যাওয়ার মতো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। তিনি বলেন, রাখাইনে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ নিরসনে এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মানবিক সংস্থাগুলোর প্রবেশাধিকার সীমিত। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আগে এসব বিষয় সমাধান হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ সফর শেষে ডেপুটি হাইকমিশনার কেলি ক্লেমেন্টস জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি সইয়ের আলোচনায় ইউএনএইচসিআরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে চুক্তি বাস্তবায়নে ইউএনএইচসিআর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে শরণার্থীদের তথ্যসমৃদ্ধ ও স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পর্যায়ক্রমে তাদের নিজ দেশে সুরক্ষিত পরিবেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সার্বিক নির্ভরযোগ্যতা পর্যবেক্ষণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের সরকার এসব বিষয়, বিশেষ করে ইউএনএইচসিআরের ভূমিকা, কাজের পরিধি, প্রত্যাবাসনের সময়সীমা এবং যে সব শর্ত পূরণ করে একজন শরণার্থী প্রত্যাবাসনের যোগ্য বিবেচিত হবে - তার বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কেলি ক্লেমেন্টস জানান, রোহিঙ্গাদের জীবন বাচাতে সীমান্ত খুলে দেয়ায় বাংলাদেশকে আমরা সাধুবাদ জানাই। রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ যে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে, সেটা অত্যন্ত ইতিবাচক। কারণে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যৌথ কার্যক্রমে ইউএনএইচসিআর সার্বক্ষণিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
×