ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনন্য রেজা করিম

আবারও একদল অপদার্থের সঙ্গে প্রিয়া আনন্দ!

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

আবারও একদল অপদার্থের সঙ্গে প্রিয়া আনন্দ!

হিন্দী ‘ফুকরে’ শব্দের বাংলা অর্থ ‘অপদার্থ’। একদল অপদার্থ যুবকের মজাদার গল্প নিয়ে নির্মিত বলিউডি সিনেমা ‘ফুকরে’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালে। এ ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন ফারহান আখতার এবং রিতেশ সিধওয়ানি। ১৬ কোটি রুপি বাজেট নির্মিত ছবিটি ৩৭ কোটি রুপি ব্যবসা করেছিল। আহামরি নামী-দামী বড় কোন তারকা না থাকলেও ‘ফুকরে’র ব্যবসায়িক সাফল্য রীতিমতো অবাক করেছিল সবাইকে। সেই অপদার্থ মানুষগুলো এখন কেমন আছে, কি করছে তাদের হালচাল তুলে ধরতে ফারহান আখতারের প্রযোজনা সংস্থা এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট চার বছর পর ‘ফুকরে’র সিক্যুয়াল তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সেই সিক্যুয়াল মুভি ‘ফুকরে রিটার্নস’ আসছে এ সপ্তাহে। ৪ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল কমেডি ধাঁচের হিন্দী সিনেমা ‘ফুকরে’। পুলকিত সম্রাট, বরুণ শর্মা, আলি ফজল, মনজট সিং, রিচা চাড্ডা, বিশাখা সিংয়ের মতো একদল তরুণ বয়সী অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রিয়া আনন্দও ছিলেন অন্যতম প্রধান নারী চরিত্রে। তার অভিনীত চরিত্রের নামও ছিল প্রিয়া। বক্স অফিসে মোটামুটি ভাল সাফল্যের চমক দেখিয়ে ছিল ফুকরে। চার বছর পর সেই একই চরিত্রের সমাবেশ ঘটিয়েছেন ছবিটির নির্মাতাগোষ্ঠী দর্শকদের সামনে নিয়ে আসছেন ফুকরে রিটার্নস। ফুকরের সিক্যুয়ালে প্রিয়া চরিত্রে দর্শকদের সামনে আবারও উপস্থিত হচ্ছেন প্রিয়া আনন্দ। বলিউডে তার অভিষেক ২০১২ সালে ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ছবির মাধ্যমে। শ্রীদেবী অভিনীত বহুল আলোচিত ছবিটিতে তাকে ছোট্ট একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। শ্রীদেবীর ভাগ্নির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। যদিও এর আগেই দক্ষিণী সিনেমায় তামিল, তেলেগু, মালায়লাম, কানাডা ভাষায় নির্মিত ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে মোটামুটি ভাল অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছিল। চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণকারী প্রিয়া বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানাতেও থেকেছেন। ফলে তামিল এবং তেলেগু ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। এর বাইরেও ইংরেজী, বাংলা, হিন্দী, মারাঠি এবং স্প্যানিশ ভাষায়ও তার ভাল দক্ষতা রয়েছে। খুব ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি আগ্রহ ছিল তার। তখন থেকেই সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমার কারিগরি দিক নিয়েও তার উৎসাহ ছিল। তবে উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য এক সময় আমেরিকায় পাড়ি জমান। সিনেমায় ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে সেখানে কমিনিউকেশন এ্যান্ড জার্নালিজম বিষয়ে পড়াশোনা করেন। আমেরিকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে ২০০৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। চেন্নাইয়ে দাদুবাড়িতে থেকে মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন প্রিয়া। বেশ অনেক আলোচিত জনপ্রিয় টিভি এ্যাডে তাকে দেখা গেছে তখন। মডেল হিসেবে নজর কাড়ার পর দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয়ের ডাক পেতে শুরু করেন। ২০১০ সালে প্রিয়া আনন্দ অভিনীত প্রথম তামিল সিনেমায় দেখা যায়। তার প্রথম অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি ছিল এ্যাকশন থ্রিলার ধাঁচের। ছবির নাম ভামানান। প্রথম রুপালি পর্দায় তার উপস্থিতি দর্শকদের আলোড়িত করেছিল। এরপর ‘পুগাইপ্পাডাম’, ‘লিডার’, ‘রামা রামা, কৃষ্ণা কৃষ্ণা’, নুটরেনবাধু, কো অ্যান্টি কোটি, ইথির নিচাল, ভেনক্কাম চেন্নাই আরিমা নাম্বি, ভাই রাজা ভাই’, ইজরা, মুথুরামালিংগাম, রাজাকুমরা, কুটাটহিল ওরুবান প্রভৃতি দক্ষিণী সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তার একটি শক্ত অবস্থান গড়ে উঠেছে সেখানে। বলিউডে ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ছাড়াও ‘রাংরেজ’, ‘ফুকরে’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। চার বছর পর ‘ফুকরে রিটার্নস’-এর মাধ্যমে আবার হিন্দী সিনেমায় ফিরছেন প্রিয়া। কমেডি ধাঁচের ছবিটির সিক্যুয়ালে একই চরিত্রে দর্শকদের সামনে নিজের ফিরে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আবার অনেকদিন পর প্রিয়া চরিত্রটি রূপায়ণ করেছি। বেশ এনজয় করেছি ফুকরে টিমের সঙ্গে, আমাকে তাদের সঙ্গে আবার দেখে দর্শকও বেশ মজা পাবেন আশা করছি।
×