ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সমালোচনাকে পজিটিভ মনে করি

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

সমালোচনাকে পজিটিভ মনে করি

আনন্দকণ্ঠ : প্রথমেই আপনার ব্যস্ততা নিয়ে বলুন? অর্ষা : এখন বেশকিছু সিরিয়াল করছি। সেগুলো নিয়ে ব্যস্ততা অনেক বেশি। এর মধ্যে প্রচার হচ্ছে এনটিভিতে ‘জলরং’, এটিএন বাংলায় ‘বাবুই পাখির বাসা’, মাছরাঙা চ্যানেলে ‘ফুলমোহন’। তাছাড়াও নতুন একটি ধারাবাহিক আরটিভিতে প্রচার হবে ‘সময় অসময়ের খেলা’। আরও নতুন একটি সিরিয়ালের কাজ করার কথা চলছে পা-ুলিপি হাতে এসেছে এখনও ফাইনাল করিনি। এটাও মাছরাঙা চ্যানেলের জন্য। ১৬ ডিসেম্বর জন্য বেশকিছু খ- নাটকের কাজ করলাম এর মধ্যে হলো চ্যানেল আইয়ের জন্য ‘আমাদের ছোট বাড়ি’।সে নাটকে আমার বিপরীতে আছেন ইরফান সাজ্জাত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কে কেন্দ্র্র্র করে গল্পটি। বেশ কিছু সিনিয়ার শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। আবুল হায়াত, রাইসুল ইসলাম আসাদসহ আরও অনেক সিনিয়র শিল্পীরা ছিলেন। সম্প্রতি একটা খ- নাটক করলাম নাম ‘দ্রোহ’। আনন্দকণ্ঠ : ‘দ্রোহ’ নাটকে আপনার চরিত্রটি কেমন? অর্ষা: প্রথমবারের মতো অনিক বিশ্বাস এর ‘দ্রোহ’ নাটকের মধ্যে দিয়ে তার সঙ্গে কাজ করলাম। এখানে আমার চরিত্রটির নাম সামিরা। আমার বিপরীতে আছেন সজল। আমি একজন গৃহিণী এবং পাঁচ বছরের দম্পতির সংসার জীবন। মোটামুটি সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল কিন্তু হঠাৎ একটু ভুল বোঝাবুঝি হয় আমাদের মধ্যে। ভুল বোঝার কারণ হলো একটি নেকলেস। নেকলেস নিয়েই নাটকের কাহিনী। একটি নেকলেসকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে সন্দেহ নিয়ে নানাভাবে ঝামেলা শুরু হয় যার শেষ পরিণতি গড়ায় ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে। স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনকে প্রচ- ভালবাসে। স্ত্রী একটা জায়গায় ভুল বুঝে কিন্তু সে তার স্বামী কে ব্যাপারটা খুলে বলে না। একপর্যায় সিদ্ধান্তে চলে আসে ডিভোর্স। এ ভাবেই গল্পটি সামনের দিকে এগোতে থাকে। বাকিটা চমক। আনন্দকণ্ঠ : খ নাটক না ধারাবাহিক কোনধরন নাটকে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? অর্ষা : দুটি দুই রকমের মজা। খ- নাটকের স্বাচ্ছন্দ্যবোধের জায়গায়টা হলো আমরা এক সঙ্গে গল্পটা শেষ করে ফেলি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু সিরিয়ালের ব্যাপারে দেখা যায় প্রত্যেক মাসে শূটিং থাকে কখনও চরিত্রের লাইন খুলে যায়। গল্পর ধরন পরিবর্তন হয়। ওটার আবার আর এক রকমের ধারাবাহিকতা। আমি বলব দুটো দুই রকমের। আনন্দকণ্ঠ : বড়পর্দা নিয়ে কোন ভাবনা আছে? অর্ষা : আমি দুইটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এর মধ্যে একটি হলো ‘ভালো মেয়ে খারাপ মেয়ে’ এটা ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শন করানো হবে। সম্পাদনার কাজ চলছে। ডাবিং বাকি আছে। ছবিটি নির্মাণ করেছেন অভিনেতা-পরিচালক রওনক হাসান। এখন পর্যন্ত বড়পর্দা নিয়ে সেভাবে ভাবছি না। কারণ বড়পর্দার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধের জায়গাটা এবং গল্পের ধারাবাহিতার জায়গাটা নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা আছে। তাই এখন পর্যন্ত সিনেমায় নিয়ে ভাবছি না। আনন্দকণ্ঠ : কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করেন? অর্ষা : আমি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি। যদি সে চরিত্রের মধ্যে অভিনয়ের সুযোগ থাকে। তাহলে ভাল-মন্দ যে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি আছি। যদি কোন পাওয়ারফুল চরিত্র থাকে। সেখানে অদ্ভুত ভাবনা থাকে চরিত্র ফুটিয়ে তোলার মতো সুযোগ থাকে। তাই আমি বলব যে সব গল্পে অভিনয় ফুটিয়ে তোলার মতো চরিত্র থাকবে সে সব চরিত্রে অভিনয় করতে আমি পছন্দ করি। ভবিষ্যতেও চাই। আনন্দকণ্ঠ : নাটকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটিই হচ্ছে। আপনার মন্তব্য কী? অর্ষা : আমার কাছে মনে হয় যখন কোন একটা কাজ শিল্পের পর্যায়ে পড়ে তখন প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটিই থাকবে। যদি একাধারে প্রশংসা হয় তাহলে সেটি সত্য হতে পারে না। অন্যদিকে শুধুই যদি সমালোচনা হয় তাহলে সেটাও সত্য হতে পারে না। তো প্রশংসা সমালোচনা দুটোই থাকবে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত থেকে এসেছে। আমরা মাঝে মধ্যে উদাহরণ টেনে বলি যে আগের নাটকগুলো ভাল ছিল। এই ছিল সেই ছিল। এখনকার সময়ের নাটকগুলো সে রকম গল্পে বলছে না। আবার ধরেন আমাদের পরে বিশ বছর পর কাজ হবে। তখন আবার আমাদের কাজগুলো নিয়ে প্রশংসা হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই পরিবর্তন হবে। আমি এটাকে পজিটিভ ভাবে নিই। কারণ প্রশংসা করলে খুবই আনন্দের। ভুল ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা হলে সেখানে শেখার জায়গা থাকে। তাই আমি সমালোচনাটাকে পজিটিভ মনে করি। আনন্দকণ্ঠ : ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? অর্ষা : আমি কখনও ভবিষ্যত নিয়ে অধীর পরিকল্পনা করি না। আজকের দিনটা সম্পর্কে আমি অবগত কিন্তু কালকের সকালটা সম্পর্কে নিশ্চিত নয়।
×