ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সবজি রফতানি আয় কমছে

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

সবজি রফতানি আয় কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে কমতে শুরু করেছে শাকসবজি খাতে রফতানি আয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, ইপিবির তথ্যমতে, গত তিন অর্থবছরের এ খাতে রফতানি আয় কমেছে প্রায় ৬২ লাখ ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত মান নিয়ন্ত্রণ না করা এবং ফাইটো সেনেটারি সনদ না নিয়ে শাকসবজি রফতানি করায় তৈরি হয়েছে এই নেতিবাচক ধারা। তবে, আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজি মানসম্মতভাবে রফতানি করলে এ খাতের আয় বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা। উর্বর মাটি আর কৃষকের ঘামঝড়া পরিশ্রমে কৃষি প্রধান এ দেশে উৎপাদিত হয় হরেক রকমের সবজি। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এসব সবজি রফতানি হয় বিভিন্ন দেশে। স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে শাকসবজি রফতানি শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথমবার আয় হয় সাত লাখ ১৩ হাজার মার্কিন ডলার। এরপর থেকে প্রতিবছরই বেড়েছে এর পরিমাণ। ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে লাখের ঘর ছাড়িয়ে আয় আসে কোটি ডলারের ঘরে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সবজি রফতানিতে আয় হয় সর্বোচ্চ। তবে, এরপর থেকেই শুরু হয় নেতিবাচক ধারা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, ইপিবির তথ্যমতে, গত তিন অর্থবছরে এ খাতে রফতানি আয় কমেছে প্রায় ৬২ লাখ ডলার। কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাননিয়ন্ত্রণ না করার বিষয়ে। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও রাশিয়ায় সবজি হিসেবে আলুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এখানেও মানহীনতা ও ব্রাউন রট জীবাণুর কারণে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের আলু আমদানি বন্ধ রেখেছে রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো।
×