ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লবণ উৎপাদনের টার্গেট ২০ লাখ টন

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

লবণ উৎপাদনের টার্গেট ২০ লাখ টন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মহেশখালী ॥ কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে গত বছর ১৯ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের টার্গেট থাকলেও চলতি মৌসুমে ২০ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন লবণচাষীরা। হাজার হাজার চাষী লবণ উৎপাদন করে সাংসারিক জীবন পরিচালনা করে থাকেন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও লবণ রফতানি করা হয়। দেশের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকার সমুুদ্রের লোনা পানির চেয়ে এ অঞ্চলের লোনা পানির ঘনত্ব বেশি। তাই মহেশখালীতে প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদন সহজ এবং দেশের লবণ উৎপাদনের প্রধান উপজেলাও বটে। জেলার সিংহভাগ লবণ উৎপাদিত হয় মহেশখালীতে। আমন মৌসুম শেষে ধান কাটার পর ইতোমধ্যে লবণ উৎপাদনের মাঠ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মহেশখালী লবণ প্রদর্শনী অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার পৌরসভাসহ ৮ ইউনিয়নে আনুমানিক ৮ হাজার ৫০০ একর জমিতে ২০ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন প্রান্তিক চাষীরা। চলতি মাসের শুরু থেকে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যে লবণচাষীরা মাঠ পরিচর্যা পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন। ডিসেম্বরের শেষে নাগাদ মাঠে লবণ উৎপাদন শুরু হবে। একাধিক লবণ চাষীরা জানান, গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে লবণের মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা লবণের ন্যায্য দাম পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিল। এবারে লবণের মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ লবণ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে। প্রান্তিক লবণ চাষীরা জানান, গত দুই মৌসুমে সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করায় এবং সরকারীভাবে উপকূলীয় এলাকায় লবণ চাষীদের বাঁচাতে লবণ নীতিমালাসহ দাম বৃদ্ধি করায় আমরা লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন নিয়ে মাঠে নেমেছি। সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে (পলিথিনের) মাধ্যমে সাদা সোনাখ্যাত লবণ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে লবণ মন প্রতি প্রায় ৩৫০ থেকে ৪শ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এ দাম স্থির থাকলে এবং গত বছরের ন্যায় এবছরও যদি সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করে তাহলে স্থানীয় লবণচাষীরা পুরোদমে লবণ উৎপাদনে আরও সক্রিয় হবেন।
×