ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাস্টিন গোমেজ

জাস্টিন গোমেজ

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

জাস্টিন গোমেজ

১০ সেকেন্ড হোক বা ১ ঘণ্টা, সময়ের ব্যবধানটা কমবেশি হলেও লেট মানেই লেট! যদিও সময়ের ব্যাপারে অনেকে অসচেতন তথাপি আমাদের আশপাশে এমনই কিছু মানুষ রয়েছেন যারা যেখানেই আর যে কোন কাজেই হোক না কেন, সময়ের ব্যাপারে তাদের একটুও নড়চড় হয় না। ইতিহাস সৃষ্টির পেছনেও রয়েছে শত-শত কোটি পল-অনুপল-মুহূর্তের ঘন সন্নিবদ্ধ সাঁকো-বন্ধন। আমাদের জীবনও পল-অনুপল-মুহূর্তের সমষ্টি মাত্র। পদ্মপত্রে নীরের মতো তার অবস্থান। তবুও ক্ষণস্থায়ী জীবনের সঙ্গে সময় ও ইতিহাসের নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক বিদ্যমান। সময়ের সঙ্গে জীবনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে বলেই। জীবন মূলত সময়েরই সমষ্টি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়টাই জীবন। যদিও সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস গড়ে তোলা একটি কষ্টসাধ্য ও নিয়মানুবর্তীতার বিষয়। সময়ের উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই কিন্তু কাজকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ফলে সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে কাজের জন্য নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর সঠিকতা ও উপলক্ষের উপরে, কাজের ব্যবহৃত সহায়-সম্পদের ব্যবস্থাপনার ধরন ও উপযোগিতার বিষয়ে। আর এই বিষয়গুলোর ব্যবস্থাপনা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট কাজের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনার ওপর। এ জন্য সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, একটি কাজের যথাযথ পরিকল্পনা ওই কাজ সম্পাদনের পূর্বশর্ত। সুতরাং কোন কাজ করার পূর্বে ওই কাজের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণ আর কর্মপরিকল্পনায় বেশি সময় দিন। সময়কে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে বেশি সময় লাগবে না। ক্যারিয়ারের যে কোন বাধা ডিঙানো সম্ভব হবে। কেউ আটকে রাখতে পারবে না সাফল্যকে। এ লক্ষ্যে সময়ের চাকাকে নিয়ন্ত্রণ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। লক্ষ্যহীন কোন কাজে সাফল্য অর্জন করা যায় না। এ জন্য শিখতে হবে টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা। এ বিষয়ে, প্রথমেই চিন্তা করতে হবে আগামীকাল কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি জরুরী। চেষ্টা করতে হবে সময়মতো সময়ের আগেই কাজটি শেষ করতে। এছাড়া অন্যান্য কাজকেও অবহেলা করলে চলবে না। বরং আরও বেশি যত্ন নিয়ে কাজগুলো করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত একটি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পারি। রুটিন করার সময় প্রতিটি কাজের জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ রাখতে পারি। সেই কাজটিই করা উচিত যেটাতে আনন্দ খুঁজে পাব। এ্যালার্মের বিষয়ে এক কথায় মাস্টার হতে হবে। প্রতিটি কাজের অগ্রাধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। যাতায়াতের বিষয়টি ম্যানেজ করায় পারদর্শী হতে হবে। সবকিছুতেই প্ল্যান করতে হবে। সময়ানুবর্তিতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু পরিকল্পনা নয়, চেষ্টা করতে হবে তা বাস্তবায়ন করার। প্রথমদিকে রুটিনমাফিক কাজ করা অসুবিধা হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে সময়কে শাসন করতে হবে নিজের মনমতো। সেকেন্ডের হিসাবে সময়কে হিসাব করা উচিত। তাই সময় নষ্ট করা চলবে না। প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান, তাই হিসাব কষে আর জীবনের চাওয়া-পাওয়ার বিন্যাসেই সময়কে খরচ করা উচিত। যারা সময়ের কাজ সময়ে করে তাদের কাছে সফলতা নতজানু স্বীকার করে। বদলে যায় তাদের ভাগ্য।-----নটর ডেম কলেজ, ঢাকা থেকে
×