ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জ্বালাও পোড়াও চালিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

জ্বালাও পোড়াও চালিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় আগের মতো জ্বালাও-পোড়াও ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বর্তমানে শান্ত ও নিরাপদ রয়েছে। প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য রয়েছে আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা শেষে সচিবালয় এলাকায় ভাংচুরের তা-ব চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহ অশুভ লক্ষণ। তবে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই যথা সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের রায় মেনে নিতে প্রস্তুত আছি আমরা। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ) মোঃ সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডাঃ কাজী মোস্তফা সারোয়ার প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) রোকসানা কাদের। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এইডসমুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, পোলিও ও ধনুষ্টঙ্কারমুক্ত হয়েছে দেশ। সংক্রামক রোগের হার অনেকগুণ কমে গেছে। বাঙালী সব সময় জয় করতে জানে। আমাদের প্রত্যয় আছে, আমরা জয় করব। দেশে এইডস রোগী ও এইচআইভি সংক্রমণের হারও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে অসচেতন হলে ও কার্যকর উদ্যোগ অব্যাহত না রাখলে দেশে দ্রুতহারে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সমস্ত কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ বিদ্যমান রয়েছে। এইডস প্রতিরোধে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে অনেক কর্মসূচী চলমান। সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কিত বিভিন্ন ভুল ধারণা এইডস রোগীদের ঘিরে অপবাদ ও বৈষম্য তৈরি করে। এসব দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এইডস/এইচআইভি নির্মূলের সমন্বিত উদ্যোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। আর এ কাজের জন্য সরকারী ও দাতাদের বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা ও এনজিওগুলো অনেক সময় দায়িত্ব পালনে ফাঁকি দেয়। এতে এইডস নির্মূল কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
×