ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোমাঞ্চের অপেক্ষায় শেষদিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

রোমাঞ্চের অপেক্ষায় শেষদিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৮ উইকেটে ৪৪২ রানের বড় স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণার পর ইংল্যান্ডকে ২২৭ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সুযোগ থাকলেও প্রতিপক্ষকে ফলো-অন না করিয়ে স্টিভেন স্মিথরা ফের ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েন। ইংলিশ পেস-তা-বে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা! জয়ের জন্য ৩৫৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য মাথায় নিয়ে চতুর্থদিন শেষে ৪ উইকেটে ইংল্যান্ড করেছে ১৭৬। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে আজ শেষদিনে চাই আরও ১৭৮। অধিনায়ক জো রুট ৫৭ ও ক্রিস ওকস ৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে ইংলিশদের। ৩৩২ রান তাড়ায় জয়ের ক্ষেত্রে তাদের আগের রেকর্ডও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। তবে সেটি সেই ১৯২৮ সালে। নতুন ইতিহাস গড়ার কাজটা খুব কঠিন। তবু বেঁচে আছে স্বপ্ন, কারণ টিকে আছেন রুট! মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া চতুর্থদিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও নাথান লিয়নকে শুরুতেই ফেরান এ্যান্ডারসন। আগেরদিন দুর্দান্ত বোলিং করা ক্রিস ওকস এদিনও ছিলেন ছন্দে। এই পেসার ফিরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক শন মার্শ ও টিম পেইনকে। শেষদিকে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন মিচেল স্টার্ক। তাকে ফিরিয়েই এ্যান্ডারসন পূর্ণ করেন বহু কাক্সিক্ষত ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ায় ১৫তম টেস্টে প্রথমবার ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন পাঁচ শ’র বেশি উইকেট শিকারি পেসার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বড় লিডে ইংল্যান্ডের লক্ষ্যটা ছিল কঠিন-ই। তবে দলকে ভাল শুরু এনে দেন মার্ক স্টোনম্যান ও এ্যালিস্টার কুক। কুক বেঁচে যান শূন্য রানেই। জশ হ্যাজেলউডের বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। অস্ট্রেলিয়া নেয়নি রিভিউ। নিলে আউট হতেন কুক। পরে প্রথম আউট হন সেই কুকই। তবে ততক্ষণে শুরুর জুটিতে রান এসেছে ৫৩। দারুণ খেলতে থাকা স্টোনম্যান ও তিনে নামা জেমস ভিন্সকে অল্প সময়ের মধ্যে ফেরান স্টার্ক। এরপরই গড়ে ওঠে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিইয়ে রাখা জুটি। জো রুট শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। ডেভিড মালানকে করতে হয়েছে লড়াই। ধুঁকেছেন, ভুগেছেন। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি মালান। রুটের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৭৮ রানের জুটি। শেষ বেলায় অসাধারণ এক ডেলিভারিতে কামিন্স শেষ করেছেন মালানের লড়াই। তবে শেষ হয়নি রুট ও ইংল্যান্ডের লড়াই। স্কোর কার্ড অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৪৪২/৮ ডিক্লেঃ (১৪৯ ওভার; ব্যানক্রফট ১০, ওয়ার্নার ৪৭, খাজা ৫৩, স্মিথ ৪০, হ্যান্ডসকম্ব ৩৬, মার্শ ১২৬*, পেইন ৫৭, স্টার্ক ৬, কামিন্স ৪৪, লিয়ন ১০*; এ্যান্ডারসন ১/৭৪, ব্রড ২/৭২, ওকস ১/৮৪, ওভারটন ৩/১০৫, মঈন ০/৭৯, রুট ০/১৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৫৩/৪ (২৬ ওভার; ব্যানক্রফট ৪, ওয়ার্নার ১৪, খাজা ২০, স্মিথ ৬, হ্যান্ডসকম্ব ৩*, লিয়ন ৩*; এ্যান্ডারসন ২/১৬, ব্রড ০/১৪, ওভারটন ০/৮, ওকস ২/১৩) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১৩৮/১০ (৫৮ ওভার; ব্যানক্রফট ৪, ওয়ার্নার ১৪, খাজা ২০, স্মিথ ৪, হ্যান্ডসকম্ব ১২, লিয়ন ১৪, মার্শ ১৯, পেইন ১১, স্টার্ক ২০, কামিন্স ১১*, হ্যাজলউড ৩; এ্যান্ডারসন ৫/৪৩, ব্রড ০/২৬, ওভারটন ১/১১, ওকস ৪/৩৬, মঈন ০/২০)। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২২৭/১০ (৭৬.১ ওভার; কুক ৩৭, স্টোনম্যান ১৮, ভিন্স ২, রুট ৯, মালান ১৯, মঈন ২৫, বেয়ারস্টো ৩১, ওকস ৩৬, ওভারটন ৪১*, ব্রড ৩, এ্যান্ডারসন ০; স্টার্ক ৩/৪৯, হ্যাজলউড ১/৫৬, কামিন্স ২/৪৭, লেয়ন ৪/৬০) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১৭৬/৪ (৬২ ওভার; লক্ষ্য ৩৫৪; কুক ১৬, স্টোনম্যান ৩৬, ভিন্স ১৫, রুট ৬৭* মালান ২৯, ওকস ৫*; স্টার্ক ২/৬৫, হ্যাজলউড ০/৩৭, কামিন্স ১/২৯, লিয়ন ১/৩৭)। ** চতুর্থদিন শেষে
×