স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সমাজ পরিবর্তনের অংশীদার তিন তরুণ সমাজ উন্নয়ন সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশ। মানুষের কল্যাণে কাজ করার ইচ্ছাশক্তির জন্য তাদেরকে ‘এলজি এ্যাম্বাসেডর’ স্বীকৃতিও দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ স্বীকৃতি ও সহায়তা প্রদান করা হয়। স্বীকৃতি ও সহায়তাপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যাচ ৯৭, নোয়াখালীর সুবর্ণ আলো গণগ্রন্থাগার এবং চাঁদপুরের তারুণ্যের অগ্রদূত। সুবর্ণ আলোকে সাড়ে চার লাখ বাকি দুই সংগঠনকে পাঁচ লাখ করে মোট সাড়ে ১৪ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়।
দেশের নানা প্রান্তে সমাজের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে তরুণরা কাজ করতে চায়। তারা অনেক উদ্যোগও গ্রহণ করে। কিন্তু আর্থিক সহযোগিতার অভাবে সেই স্বপ্ন-উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে পারে না। সমাজ পরিবর্তনের অংশীদার হতে চাওয়া এ তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ‘এলজি এ্যাম্বাসেডর প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়। ফেসবুকে ‘এলজি বাংলাদেশ’ পেজে পরিচালিত একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গত জুন থেকে সেপ্টেম্বরে ২৩৭টি প্রকল্প প্রস্তাব জমা পড়ে। ওই প্রস্তাবগুলো থেকে উপযোগিতা, টেকসই গুণাবলী এবং বাস্তবায়নের দক্ষতা বিবেচনায় এই তিনটি সংগঠনের প্রকল্প নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ্যাডওয়ার্ড কিম বলেন, সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তারুণ্যের শক্তি। বাংলাদেশের তরুণরা অনেক উদ্যমী। দেশের-সমাজের নানা সমস্যা সমাধানে তরুণরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এমন অনেক কর্মসূচী ইতোমধ্যে সাফল্য ও স্বীকৃতি পেয়েছে।