ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাপাসিয়ায় সোহেল তাজ ॥ বড় বোনের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাব

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

কাপাসিয়ায় সোহেল তাজ ॥ বড় বোনের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাব

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, আমি মানুষের মাঝে আছি, মানুষের মাঝেই থাকব। কাপাসিয়ার মানুষ সবসময়ই আমাকে কাছে পায়, কাছে পাবে। তবে এই মুহূর্তে রাজনীতি নয়, আমি আমার মায়ের নামে করা মা ও শিশু হাসপাতাল বাস্তবায়নের জন্য এসেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে আমার একটি মাত্র চাহিদা। আমাদের প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারে। তারা সেই নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করে যেন প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নেয়। তিনি সোমবার কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে ‘সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মা ও শিশু স্বাস্থ্য কার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। সোহেল তাজ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশ, জাতী ও সমাজের জন্য আমার পিতা তাজউদ্দীন আহমদ ও মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের অনেক অবদান রয়েছে। আমার পরিবার এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে চলেছে। আমি যতদিন প্রতিনিধি ছিলাম, আমিও আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। বর্তমানে আমার বড়বোন সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে যথেষ্ট চেষ্টা করছে। আগামীতে বড়বোনের পাশে থেকে এলাকার জন্য কাজ করব। কাপাসিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক লাজু শামসাদ হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন। এ সময় গর্ভবতী মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সফটওয়্যার কার্যক্রমের উদ্বোধন ও কার্ড বিতরণ করা হয়। সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি জানান, গত দেড় বছর যাবত চেষ্টা চালিয়ে দরিদ্র, অসহায় গর্ভবতী মা’দের গর্ভ পুর্ববর্তী, চলতি ও পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে গর্ভবতী মা’দেরকে প্রসব পূর্ববর্তী, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে এ কার্ডটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ওষুধ সরবরাহসহ মোট ২৭টি সেবা দেয়া হবে। আয়োজকরা জানান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরিপ মতে, কাপাসিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১৯৮৬ জন গর্ভবতী মা রয়েছে। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ১১০ জন গর্ভবতী মা’কে স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়েছে।
×