ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাডিলেডে তবু এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

এ্যাডিলেডে তবু এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাডিলেডে এ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের (ডে নাইট) তৃতীয় দিন ছিল বোলারদের। দু’দলের মিলে সোমবার উইকেট পড়েছে মোট ১৩টি। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪৪২এর জবাবে সফরকারী ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে গেছে ২২৭ রানে। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ ওভারে মাত্র ৫৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিক অসিরা। তবু সব মিলিয়ে তাদের লিড ২৬৮ রানের। নাইটওয়াচম্যান নাথান লেয়ন ব্যক্তিগত ৩ ও ইনফর্ম পিটার হ্যান্ডসকম সমান রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। আজ চতুর্থ দিন দু’দলের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, গ্যাবার (ব্রিসবেন) প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে পাঁচ ম্যাচের ঐতিহ্যের এ দ্বৈরথে ১-০ তে এগিয়ে আছে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড দিন শুরু করেছিল ১ উইকেটে ২৯ রান নিয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই জশ হ্যাজলউড ফিরিয়ে দেন জেমস ভিন্সকে (২)। আরেক পেসার প্যাট কামিন্স এনে দেন আরও বড় উইকেট। ক্রিজে জমতেই দেননি ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে (৯)। এক পাশ আগলে রাখছিলেন এ্যালিস্টার কুক। কিন্তু লেয়নের দারুণ এক ডেলিভারি ৩৭ রানে ফেরায় বাঁহাতি ওপেনারকে। মঈন আলি ও জনি বেয়ারস্টো চেষ্টা করছিলেন জুটি গড়ার। দুজনেরই প্রতিরোধ শেষ হয়েছে অসাধারণ দুটি ফিরতি ক্যাচে। ২৫ রান করা মঈন ড্রাইভ করছিলেন। পাখির মতো উড়ে বাঁহাতে সেই বল জমিয়েছেন লেয়ন। খানিক পর ২১ রান করা বেয়ারস্টোকে দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে ফিরিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ড ১৪২/৭। ইনিংসের সেরা জুটি এরপরই পেয়েছে সফরকারীরা। দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস ও অভিষিক্ত ক্রিস ওভারটন ৬৬ রানের জুটি গড়েন অষ্টম উইকেটে। ডিনার বিরতির ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়ার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন স্টার্ক। ফিরিয়ে দেন ৩৬ রান করা ওকসকে। ডিনারের পর শেষ দুই উইকেট দ্রুত তুলে নেন লেয়ন। বল হাতে ৩ উইকেটের পর অভিষেক ইনিংসে ওভারটন অপরাজিত থাকেন দলের সর্বোচ্চ ৪১ রানে। ৬০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার লায়ন। কৃত্রিম আলোয় নতুন গোলাপি বল সুইং করারই কথা। ইংল্যান্ডকে ফলোঅন করিয়ে সেটির ফায়দা নিতে পারত অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু স্মিথ সিদ্ধান্ত নেন আবার ব্যাটিংয়ের। দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ের প্রদর্শনীতে জেমস এ্যান্ডারসন ফিরিয়েছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট (৪) ও উসমান খাজাকে (২০)। ক্রিস ওকস তুলে নেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার (১৪) ও অধিনায়ক স্মিথকে (৬)। পিটার হ্যান্ডসকম (৩*) ও নাইটওয়াচম্যান লেয়ন (৩*) কাটিয়ে দেন শেষ সময়টুকু। তবে বল হাতে ভাল করলেও ইংল্যান্ডের আসল চ্যালেঞ্জ আবারও ব্যাটিং। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদেরও হয় তো কৃত্রিম আলোয় সামলাতে হতে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তোপ। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৪৪২/৮ ডিক্লে. (১৪৯ ওভার; ব্যানক্রফট ১০, ওয়ার্নার ৪৭, খাওয়াজা ৫৩, স্মিথ ৪০, হ্যান্ডসকম ৩৬, মার্শ ১২৬*, পেইন ৫৭, স্টার্ক ৬, কামিন্স ৪৪, লায়ন ১০*; এ্যান্ডারসন ১/৭৪, ব্রড ২/৭২, ওকস ১/৮৪, ওভারটন ৩/১০৫, মইন ০/৭৯, রুট ০/১৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৫৩/৪ (২৬ ওভার; ব্যানক্রফট ৪, ওয়ার্নার ১৪, খাজা ২০, স্মিথ ৬, হ্যান্ডসকম ৩*, লায়ন ৩*; অ্যান্ডারসন ২/১৬, ব্রড ০/১৪, ওভারটন ০/৮, ওকস ২/১৩)। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২২৭/১০ (৭৬.১ ওভার; কুক ৩৭, স্টোনম্যান ১৮, ভিন্স ২, রুট ৯, মালান ১৯, মঈন ২৫, বেয়ারস্টো ৩১, ওকস ৩৬, ওভারটন ৪১*, ব্রড ৩, এ্যান্ডারসন ০; স্টার্ক ৩/৪৯, হ্যাজলউড ১/৫৬, কামিন্স ২/৪৭, লেয়ন ৪/৬০) ** তৃতীয় দিন শেষে
×