ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টুর্নামেন্টের অভাবে দেশী দাবাড়ুদের রেটিং কমছে

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

টুর্নামেন্টের অভাবে দেশী দাবাড়ুদের রেটিং কমছে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রেটিং কমছে দেশের দাবাড়ুদের। উঠে আসছে না নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার, মিলছে না অন্য কোন আন্তর্জাতিক খেতাবও। কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের অভাব এবং স্পন্সর স্বল্পতাকে দায়ী করছেন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। ৪৩তম জাতীয় দাবায় আগ্রহ কমেছে খোদ গ্র্যান্ডমাস্টারদের মধ্যেই। অংশ নেননি উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ ও গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার। দাবার ঘুঁটি আছে আগের মতোই। রাজা, মন্ত্রী, হাতি, ঘোড়া সবই আছে। কিন্তু কোথায় যেন হারানো দিনের সুর! চার দেয়ালের এই পিন পতন নীরবতার মতোই নিষ্প্রাণ। প্রচারের আলো নেই বললেই চলে। জাতীয় দাবা চলছে। দুই গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ আর রিফাত নেই টুর্নামেন্টে। তাই আবেদনও কমেছে কিছুটা। অপূর্ণতা-আক্ষেপ আছে। কিন্তু প্রাণের টানে অংশ নিয়েছেন দাবাড়ুরা। কিন্তু তাদের রেটিং বাড়ছে না। কারণ নিয়মিত টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ কম। ফলে আসছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। কোচিং প্রোগ্রাম হচ্ছে, কিন্তু লোকাল টুর্নামেন্ট কম হচ্ছে। সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়রা সুযোগ কম পাচ্ছে। কিছুদিন আগে ওয়ার্ল্ড জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে গেল, সেখানে বাংলাদেশ থেকে কেউ অংশ নেয়নি যা হতাশাজনক। দাবায় অর্জনের খবর খুবই কম। ক্রিকেট-ফুটবলের মতো অতটা আকৃষ্ট করতে পারে না তরুণদের। মস্তিষ্কের নিউরন খরচ করে যারাই বা উঠে আসছেন তাদের মাঝেও আছে হতাশা। এই যেমন ফাহাদ রহমান। অল্প বয়সে পথচলা তার তো কম হয়নি। গ্র্যান্ডমাস্টার বা ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার হওয়ার স্বপ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। স্বপ্নপূরণের জন্য তার দরকার বেশি বেশি খেলা। কিন্তু স্পন্সরের অভাবে কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে এমন বয়সেই ঝেঁকে বসেছে নানা শঙ্কা। আসলে বাংলাদেশে সেভাবে টুর্নামেন্ট হয় না, তাই বিদেশে গিয়েই খেলতে হয় ফাহাদদের। এজন্যই আপাতত একটু পিছিয়ে গেছে সে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবকেই দায়ী করছে ফেডারেশনও। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী তারা।
×