ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচারের

প্রধান সাক্ষীকে মারপিট করায় অভিযুক্তকে আটক,জেলে প্রেরণ

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রধান সাক্ষীকে মারপিট করায় অভিযুক্তকে আটক,জেলে প্রেরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৪ ডিসেম্বর ॥ কেশবপুরের গৌরিঘোনা গ্রামের নওশের আলী খান হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী নেপাল চন্দ্র হোড়কে (৭৩) মারপিট করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন নওশের আলী হত্যার নেপাল চন্দ্র জবানবন্দী দেয়ায় তাকে মারপিট করা হয়েছে। গৌরিঘোনা গ্রামের শহিদুল ইসলাম সরদার রবিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে মারপিট করে আহত করে। পুলিশ শহিদুল ইসলাম সরদারকে আটক করে সোমবার জেলে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দীন (পিপিএম বার, পিপি সেবা) গত ২২ নবেম্বর নওশের আলী খান হত্যা মামলার তদন্তে কেশবপুরে আসেন। ওই দিন তিনি গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদে নওশের আলী খান হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী নেপাল চন্দ্র হোড়সহ অন্যান্য সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এ কারণে রবিবার রাতে গৌরিঘোনা গ্রামের মৃত কাছেম আলী সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম সরদার নেপাল চন্দ্রের বাড়ি থেকে ধরে এনে মারপিট করে। এ ব্যাপারে নেপাল চন্দ্র হোড় উর্ধতন প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলে ভেরচী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মনজুর আলম অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সরদারকে আটক করে সোমবার কেশবপুর থানায় প্রেরণ করেন। নওশের আলী খান হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ার কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
×