ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিনহা রাজাকার!

বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলা খারিজ

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলা খারিজ

কোর্ট রিপোর্টার ॥ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ‘রাজাকার’ বলার অভিযোগে আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলা খারিজ হয়ে গেছে। সোমবার মামলাটির ধার্য তারিখে বাদীর কোন পদক্ষেপ না থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকী মামলাটি খারিজ করে দেন। গত ২৯ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট এরফান উদ্দিন খান এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পর আদালত সাবেক ওই বিচারপতিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন। মামলায় বলা হয়, গত ১৫ মার্চ রাত এগারোটায় বেসরকারী টেলিভিশন ডিবিসি নিউজে নবনীতা চৌধুরীর সঞ্চালনায় টকশো ‘রাজকাহন’ অনুষ্ঠানে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ১৯৭১ সনে শাস্তি কমিটির আত্মস্বীকৃত সদস্য ছিলেন বলে মন্তব্য করেন সাবেক বিচাপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। টকশোতে ওই সময় সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও বিএনপি দলীয় আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি সাবেক এক বিচারপতি হয়ে প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে এমন মন্তব্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে। এর আগে একই অভিযোগে ১৬ মার্চ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছিলেন। গত ২৭ মার্চ আইনজীবী মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের মাধ্যমে ওই নোটিসের জবাব দিয়ে ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। জবাবে বলা হয়, ‘ইহা সত্য যে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গত ১৫ মার্চ বেসরকারী টিভি চ্যানেলের টকশো ‘রাজকাহন’ এ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা ১৯৭১ সালে কুখ্যাত শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক বিচারপতি মানিকসহ মোট চার বিচারপতির সমন্বয়ে যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপীল শুনানিকালে বিচারপতি সিনহা নিজেই প্রকাশ্য আদালতে স্বীকার করেন যে, ১৯৭১ সালে তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। এটা প্রধান বিচারপতির নিজস্ব মতামত। ওই সময় জনাকীর্ণ আদালতে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক, আইনজীবী এবং বিচার প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি এক পর্যায়ে আদালতে আরও বলেছিলেন, ‘তিনি নিজেও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করেছেন। ওই আত্মস্বীকৃত বক্তব্য পরের দিন ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এ মর্মে স্বীকারোক্তির পর দেশের কোন আদালতে তিনি বিচারক হিসেবে থাকতে পারেন না।’
×