ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসবাদ সূচকে শীর্ষে ইরাক ॥ পাকিস্তান পঞ্চম

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

সন্ত্রাসবাদ সূচকে শীর্ষে ইরাক ॥ পাকিস্তান পঞ্চম

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) ১৬৩টি দেশের মধ্যে পাকিস্তান পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দশের মধ্যে দেশটির স্কোর ৮.৪। অস্ট্রেলীয় ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি ও অর্থনৈতিক ইনস্টিটিউটের (আইইপি) এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সন্ত্রাসবাদ সূচকে শীর্ষে রয়েছে ইরাক। তাদের জিটিআই স্কোর দশের ভিতরে দশ। এরপর আফগানিস্তান, নাইজিরিয়া ও সিরিয়া। গত এক দশকে এটাই পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে ভাল ফল। ২০০৭ সাল থেকে দেশটি সর্বনিম্ন চারের মধ্যে ছিল। ছয় ছয় বার সূচকের দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তান। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের তথ্য-উপাত্তের (জিটিডি) ওপর ভিত্তি করে জিটিআই নির্ধারণ করা হয়। সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বিবেচনায় নিয়ে এই সূচক নির্ণয় করা হয়। আইইপি এখন পর্যন্ত এক লাখ সত্তর হাজার সন্ত্রাসী ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। নতুন এ প্রতিবেদনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের ঘটনা কম দেখানো হয়েছে। ২০১৬ সালে ২৫,৬৭৩ জন মানুষ সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের তুলনায় যেটা ২২ শতাংশ কম বলে দেখা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নাইজিরিয়ায় সন্ত্রাসী ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমে গেছে। এই চারটি দেশই সন্ত্রাসী হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু বিশৃঙ্খলা প্রবণতাও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আগের বছরগুলোর তুলনায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও তুলনামূলক কম ছিল। তবে আক্রান্ত দেশের সংখ্যা গেল সতেরো বছরের চেয়ে বেশি ছিল। ২০১৫ সালে ৬৫টি দেশ সন্ত্রাস হামলার শিকার হয়েছিল। পরের বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭-এ। সন্ত্রাসী হামলা ৭৯টি দেশে কমেছে। ৫৮টি দেশে আগের তুলনায় বেড়েছে। নাইজিরিয়া ও পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসের লালনভূমিতে উন্নতি দেখা গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় বছরের মতো ২০১৬ সালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা কমেছে। গত বছরে পাকিস্তানে ৯৬৫ জন নিহত হয়েছিলেন। সন্ত্রাসী হামলায় গত এক দশকে দেশটিতে এটাই সবচেয়ে কমসংখ্যক মৃত্যু। ২০১৩ সালের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ শতাংশ কমে গেছে।
×