ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতীয় পেঁয়াজে প্রতিকেজিতে আমদানিকারকদের ১৪ টাকা লোকসান

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ভারতীয় পেঁয়াজে প্রতিকেজিতে আমদানিকারকদের ১৪ টাকা লোকসান

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দেশের বাজারের চাহিদা সামাল দিতে ভারত থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। তাদের বক্তব্য, ভারত সরকারের বেঁধে দেয়া ন্যূনতম রফতানি মূল্যে (এমইপি) পেঁয়াজ আমদানি করে এখন কেজিতে তাদের ১০ থেকে ১৪ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয় ভারত থেকে। নিজেদের বাজারে পণ্যটির উর্ধমুখী দামে লাগাম টানতে সম্প্রতি পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়ায় ভারত সরকার। নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার পর ভারত থেকে কেজিতে ৭১-৭২ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করেন আমদানিকারকরা। যা রকমভেদে এখন ৫৪-৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে, লেটার অব ক্রেডিটে (এলসি বা ঋণপত্র) নির্ধারিত পরিমাণ আমদানি করা পেঁয়াজের সঙ্গে অতিরিক্ত পেঁয়াজ এনে ডলারের সমন্বয় করার কথা থাকলেও, সেটা মানছেন না ভারতীয় রফতানিকারকরা। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে আগে গড়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও মাঝে কিছুদিন সরবরাহ কমে যাওয়ায় ১০-১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়। বর্তমানে আবারও পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, ফলে বন্দর দিয়ে ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ রকমভেদে কেজিতে ৫৪-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৭০-৭৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দিনাজপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ রকমভেদে কেজিতে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানান, ভারত সরকারের বেঁধে দেয়া এমইপিতে প্রতিটন পেঁয়াজ ৮৫০ মার্কিন ডলার এলসিতে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন আমদানিকারকরা। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে দুই ডলারের পরিবহন খরচ। ফলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানিতে খরচ পড়ছে ৭০-৭২ টাকা করে। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সার্বিক চাহিদা কমে গেছে। আবার বাজারে নতুন জাতের দেশী পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। এতে পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম দিনে দিনে কমছেই। সাইফুল ইসলাম নামে অপর এক আমদানিকারক জানান, বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করায় ভারতের রফতানিকারকরা প্রতিকেজিতে ২০ টাকা করে বেশি পাচ্ছেন। বাড়তি টাকাটা ফেরত পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা কেউ পাচ্ছেন না। সরকারের কাছে অনুরোধ, এ সমস্যার সমাধানে যেন পদক্ষেপ নেয়া হয়।
×