ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একই ব্যক্তি উত্তোলন করছেন দুই পদের টাকা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

একই ব্যক্তি উত্তোলন করছেন দুই পদের টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারে শিল্প নগরী বিসিক কার্যালয় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিসিকে প্লট বরাদ্দ, লবণ মিলের লাইসেন্স নবায়ন, ভুয়া লবণ মিল মালিকদের তালিকাভুক্তকরণ ও একই ব্যক্তি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে দুই কর্মচারীর নামে বেতন উত্তোলনসহ ভুয়া বিল-ভাউচার করে সরকারী টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, প্রতিবছর বিসিকের কর্মচারী (পিয়ন) মোক্তার আহমদের সঙ্গে আঁতাত করে দুর্নীতিবাজ কতিপয় ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করতে ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে নিচ্ছে। অথচ ওইসব লাইসেন্স উল্লিখিত লবণ মিল মালিকের অস্থিত্বও নেই। গত বিশ বছর ধরে একই স্থানে চাকরিরত অষ্টম শ্রেণী পাস পিয়ন মোক্তার আহমদের দাপটে সেবা নিতে আসা ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে জানা গেছে। ওই পিয়নের মাধ্যম ছাড়া কোন ফাইলে বিসিকের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সই করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। শিল্প সহায়ক কেন্দ্রে প্লট বরাদ্দ ও লবণ শিল্পের নিবন্ধনের নামে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়ে থাকে। সেবা প্রার্থীরা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে বিসিকের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনের কাছে গেলে তিনি সব রকমের ফাইলের বিষয়ে মোক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলে ভোক্তভুগীদের অভিযোগ। সূত্র জানায়, প্রায় বিশ বছর আগে মাস্টাররোলে পিয়ন পদে চাকরি নেন মোক্তার আহমদ। পরবর্তীতে টাইপিস্ট পদে পদায়ন হয় তার। পদায়নের পর হিসাবরক্ষকের দায়িত্বও পালন করে তিনি ২ পদের টাকা উত্তোলন করে চলছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিজাম ও পিয়ন মোক্তার কতিপয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজশ করে ভুয়া প্রজেক্ট ও বিলভাউচার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে চলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইসলামপুরে মাঠপর্যায়ে একজন পিয়ন শহরে প্লট কেনাসহ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা তদন্তের দাবি উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা ছাড়াও খোদ বিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে।
×