ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী ও বিরোধী এমপিদের চাপের মুখে টেরেসা মে

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে কত অর্থ ব্যয় হবে প্রকাশ করুন

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে কত অর্থ ব্যয় হবে প্রকাশ করুন

ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে ব্রিটেনের জনগণকে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করার প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র ওপর চাপ বাড়ছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরাই তাকে এ বিষয়ে চাপ দিচ্ছেন। ইন্ডেপেন্ডেন্ট। মন্ত্রিসভার সদস্য এবং এমপিরা বলছেন ব্রেক্সিট বিল (তাদের ভাষায় ডিভোর্স বিল) বাস্তবায়ন করতে ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি পাউন্ড ব্যয় হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে কত অর্থ ব্যয় হবে মে’র উচিত তা স্পষ্ট করে জানানো। বিরোধী লেবার পার্টি এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করেছে যেন যুক্তরাজ্যের ব্যয় নজরদারি সংস্থাগুলো ব্রেক্সিট খরচের হিসাব ভালভাবে তদারকি করতে পারে। তারা কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করার অনুরাধ জানিয়েছেন। লেবার পার্টি চাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট আয়োজন করতে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কারের সঙ্গে মে বৈঠকে বসার মাত্র একদিন আগে এ খবর এমন এক সময় জানা গেল। এ বৈঠকে তারা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত এবং ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনে ইউরোপীয় নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলবেন। তাদের মধ্যে যে সিদ্ধান্তই হোক চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেটি ইউরোপীয় কাউন্সিলে তা অনুমোদিত হবে। অভিযোগ উঠেছে ডিভোর্স বিলের জন্য কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে নিজ দেশের জনগণকে মে তা জানাচ্ছেন না। কোন প্রক্রিয়ায় তিনি ব্রিটেন ইইউ থেকে আলাদা সে সম্পর্কে তিনি তাদের অনবহিত রাখছেন। সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী মাইকেল হ্যাসেলটাইন বলেন, ব্রিটেনের লোকজন ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছিল যে কল্পিত স্বপ্ন সামনে রেখে সেটি ক্রমেই বিবর্ণ হয়ে আসছে। তাদের সামনে এমন ধারণা তুলে ধরা হয়েছিল যে, ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্রিটেন এককভাবে বিশ্বের সামনে নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরবে। এমন একটি কাল্পনিক ধারণা অনেক ভোটারকে আকৃষ্ট করেছে। কিন্তু এর জন্য তাদের কত মূল্য দিতে হবে সে প্রশ্নটি এতদিন কেউ করেনি। এখানে আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই। লেবার পার্টি যদি পার্লামেন্টকে না জানিয়ে ৩ হাজার ৪ হাজার বা ৫ হাজার কোটি পাউন্ডের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয় করজারভেটিভ পার্টি তার প্রতিবাদ করবে কি না। তিনি আরও বলেন সরকার যদি বলে আমরা এটি এখনও স্থির করিনি, তবে সঠিক হবে না। ইইউর সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত করার পর তা প্রকাশ করে কি লাভ হবে। কনজারভেটিভ পার্টির আরেকজন সাবেক এমপি স্টিফেন হ্যামন্ডও বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতের সরকারের আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত।
×