ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে সহায়তাকারীদের সম্মাননা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে সহায়তাকারীদের সম্মাননা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি ভবন ভাড়া নিয়ে ১৯৯৬ সালে যাত্রা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে জাতিসত্তার ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপনের এই প্রয়াস গোড়া থেকেই ব্যাপক মানুষের সমর্থন ও সহায়তায় ধন্য হয়েছে। গণমানুষের সেই ভালবাসায় দীর্ঘ ২১ বছরের সেগুনবাগিচার স্মৃতি রেখে এ বছর শেরে বাংলা নগরে স্থানান্তরিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। অস্থায়ী ভবন ছেড়ে ঠাঁই হয় নিজস্ব ভবনে। আর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহায়তাকারীদের সম্মাননা জানানো হলো শুক্রবার। জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষক, স্থাপনা সদস্য, উদ্যোক্তা সদস্য ও জীবন সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে অনুদান প্রদানকারী ২৫৯১ জনের মধ্যে ৩৯৩ জনকে সম্মাননা জানানো হয় এই আয়োজনে। শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহায়তাকারীদের সম্মাননা প্রদানের এ আয়োজনে অতিথি হয়ে এসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জাদুঘরের কর্মসূচী সমন্বয়ক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের দুই ট্রাস্টি ডাঃ সারোয়ার আলী ও আলী যাকের। অনুষ্ঠানে স্মারক প্রদান করা হয় কৃষিমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিহাদুর রহমান শাহীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এসকে সুর চৌধুরী, জাদুঘরের হিতৈষী নূরজাহান বেগমকে। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা যখন গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে চলছি, তখন একাত্তরের পরাজিত শক্তি পেছন থেকে আমাদের জাতীয় পতাকাকে পেছন থেকে খামচে ধরতে চায়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তাদের কর্মকা-ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার কঠিন দায়িত্বটি পালন করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক রাশিদুল হাসানের মেয়ে রুকাইয়া হাসিনা নিলি বলেন, বাবা বলতেন ‘এই দেশটি বাংলাদেশ, আমরা সবাই বাঙালী হয়ে বাঁচব। আজকে যখন ভাষা, পোশাক আর চলনে-বলনে বিদেশী সংস্কৃতির আধিপত্য দেখি, তখন এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি বাঙালীর চেতনার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশ আর বাঙালীর অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখবে। বাঙালী হয়ে বাঁচব আমরা, প্রাণ খুলে বলব জয় বাংলা। অনুষ্ঠানে শেষে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে পঞ্চভাস্বরের শিল্পীরা।
×