ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর, ১ ডিসেম্বর ॥ বোয়ালমারী উপজেলায় ২০১৮ সালের অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে বিভিন্ন স্কুল বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, এসএসসি ও দাখিলের ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ১ হাজার ৫৫০ টাকার স্থলে উপজেলা সদরের জর্জ একাডেমি ২৮৫০ টাকা, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২২শ’ টাকা, চতুল উচ্চ বিদ্যালয় ২২শ’ টাকা, ছোলনা সালামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে ফরম পূরণ করেছে। এসব টাকা নিয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কোন রশিদ দেয়া হয়নি বলে অভিভাবকরা জানায়। চাপলডাঙ্গা গ্রামের বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির শিক্ষার্থী হুসাইনের পিতা শাহাদত বলেন, আমার ছেলে সব বিষয়ে পাস করেছে অথচ ২ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হলো। সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরা খাতুনের পিতা মাসুদ শেখ জানান, সরকারী স্কুল হওয়া সত্তেও আমার মেয়ের ফরম পূরণে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকা। ছোলনা সালামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সজীব মোবাইল ফোনে বলেন, আমার ফরম পূরণের জন্য চাচার মাধ্যমে ২৫শ’ টাকা দিতে হয়েছে। চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুকুল শেখ নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় তার কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য নেয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জর্জ একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনায়েতুল্লা বলেন, আমরা মডেল টেস্ট, সেশন চার্জ মিলাদ, তিন মাসের বেতনসহ ফরম পূরণে ২৮৫০ টাকা নিয়েছি। চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, আমরা ফরম পূরণ ও সেশন চার্জ বাবদ ২১০০ আর ২২০০ টাকা নিয়েছি।ছোলনা সালামিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল আঃ সালাম মিয়া বলেন, আমি অতিরিক্ত কোন টাকা নেইনি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫৫০ টাকা করে নিয়েছি। সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল হক হাওলাদার বলেন, আমি ফরম পূরণ ও বাৎসরিক চার্জসহ ২ হাজার ৫০ টাকা নিয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আঃ রহিম বলেন, বিভিন্ন স্কুলে এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা আমি শুনেছি। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যে সকল স্কুলের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×