ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টিলারসনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকছেন ॥ হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

টিলারসনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকছেন ॥ হোয়াইট হাউস

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে সরিয়ে দেয়ার খবর উড়িয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, এই শীর্ষ কূটনীতিকই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, খবরটি সঠিক নয়। এর আগে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা বেনামি সূত্রের বরাতে খবর ছেপেছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান মাইক পম্পিওকে টিলারসনের স্থলাভিষিক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রেক্স টিলারসনের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতির বেশ কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। তাদের সস্পর্ক ভাল যাচ্ছে না বলে খবরে বলা হয়েছে। সরকারী সূত্রের বরাতে খবরটি প্রথম ছাপে নিউইয়র্ক টাইমস ও ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিন। এ্যাসোসিয়েট প্রেসও (এপি) হোয়াইট হাউসের দুই কর্মকর্তার বক্তব্যের খবর ছেপেছে। তবে তাদের নাম উল্লেখ করেনি। এপির ভাষ্যে, তার জায়গায় সিআইএ প্রধানকে বসানোর পরিকল্পনার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। রয়টার্সও সরকারী সংস্থার সূত্রের কথা উল্লেখ করে একই খবর ছাপে। পরিকল্পনা অনুসারে পম্পিওর স্থলে সিআইএর প্রধান হিসেবে রিপাবলিকান সিনেটর টম কটনকে বসানো হবে। ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে এই পুনর্বিন্যাস আনা হবে বলে খবরে বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পুনর্বিন্যাসে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্যান্ডার্স বলেন, যখন প্রেসিডেন্ট বলেন, রেক্স তার সঙ্গে আছেন। কাজেই সেখানে এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তিগত ঘোষণা আসেনি। রেক্স টিলারসনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম বছরের অবিশ্বাস্য সফলতার দিকেই এখন পুরো মন্ত্রিসভার মনোযোগ। পরবর্তী এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যখন প্রেসিডেন্ট কোন ব্যক্তির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন তখন তিনি এখানে কাজ করার যোগ্যতা রাখেন না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট স্বীকার করেন যে টিলারসন ও ট্রাম্পের মধ্যে নীতিগত মতবিরোধ রয়েছে। তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও হোয়াইট হাউসের চীফ অব স্টাফ জন কেলি পররাষ্ট্র দফতরে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন, গুজবটি সত্য নয়।
×