ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

পাঁচটি কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

পাঁচটি কবিতা

দুই বন্ধু ভল্লুক দেখে গাছে উঠে পড়া আমি তবে সেই প্রথম বন্ধু দ্বিতীয় বন্ধুকে বৃক্ষতলে ফেলে রেখে লাফিয়ে উঠে পড়া জানা ছিল দ্বিতীয় বন্ধুটি ট্রাজেডির শিকার হবে আর বৃক্ষের আড়াল থেকে সে সব দৃশ্য দেখে যেতে হবেঃ ভল্লুকটি ক্রমশ এগিয়ে আসছে, ভীত সন্ত্রস্ত বন্ধুবর হঠাৎ দেখি শুয়ে পড়েছে মাটিতে- ভল্লুকটি সারা শরীর শুঁকে শুঁকে তাকে না ছুঁয়েই মুখ ফেরালো। ভল্লুকেরা চলে গেলে বন্ধু জেগে উঠে নিঃসাড় কী করুণ চোখে তাকায়- তারপর ফিক করে হেসে বলে ফেলে, বন্ধু হও তো এমনই হও হে। ** অতিমানুষ কীবোর্ডে হাত রাখতে গেলেই টের পাই মরে গেছে হাত মনিটরে চোখ ফেলতেই বুঝে যাই, দু’চোখ অন্ধ অকস্মাৎ চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়াতেই মনে হলো পা নেই পায়েতে এমন কী নাক কান গলাও গেছে মরণের ওপার বেড়াতে। তবে কী মৃত কোন মানুষ আমি, প্রেত কিংবা ভূত আচরণ কেমন যেন ঠেকছে আজকাল বড়ই অদ্ভুত ঠাহর পাই না কিভাবে হয়ে যায় কেমন করে কখন পায়ের সঙ্গে আরও জোড়া পা, হাতে হাত রাখি যখন শিহরণ জাগানো রাত ছিল বটে গভীর তার স্বমেহন নাকে নাক ঘষ্টানো, বাহুতে বাহুর নিবিড় আলিঙ্গন হঠাৎ এমন করে মরে যাবে মরিবার ব্যাকুল স্বাদে আমাকে পশ্চাতে রেখে ডুবে যায় সব খন্দে-খাদে মৃত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা যেন অতিকায় মানুষ ইন্দ্রিয় যার অচলায়তনে বাঁধা, নেই কোন জ্ঞানহুঁশ একে একে সব মরে যায়, ঠাঁই নেয় কাতারে শুধু এক লিঙ্গচাপ জেগে থাকে স্বর্গীয় আঁধারে। ** ভীত অবয়ব অনাদায়ী ঋণের মতোন বারবার ফেরত দেবার তাগাদায় আমি ফিরিয়ে দিতে পারিনি প্রেম-তোমার ঐশ্বর্য নীরক্ত বিদ্রƒপে মুখ তুলে তাকাইনি ক্ষমার বোধেও হিংসুটে হাতের বদান্যতা বাঁকাবিদ্রƒপের ঝলসানো তীর ধনুকের ছিলা ছেড়ে সটান বিদ্ধ করে, ডানার প্রান্তদেশ ঝটপটিয়ে পাখি মুখ থুবড়ে পড়ে, শুশ্রƒষায় আবার ফিরে পায় ডানার তেজ, আকাশে ফেরার গানবাজনা উল্লাস উপেক্ষা করে বাষ্পভরা বেআব্রু দৃষ্টি মেলে নষ্ট নক্ষত্রের মতো অন্ধকার রাজ্যপাটে ঘোরে অযথা পাখি জন্ম হলে বারবার উড়ে এসে আবার ফিরে যেতো মনুষ্য জন্ম বলেই একবার চলে গেলে ফেরে না তো সহজে কিছুই পারিনি ফিরিয়ে দিতে কেবল অনাদায়ী ঋণ বাড়ে। ** অনাদায়ী ঋণ বাড়ে অনাদায়ী ঋণের মতোন বারবার ফেরত দেবার তাগাদায় আমি ফিরিয়ে দিতে পারিনি প্রেম-তোমার ঐশ্বর্য নীরক্ত বিদ্রƒপে মুখ তুলে তাকাইনি ক্ষমার বোধেও সিংসুটে হাতের বদান্যতা বাঁকাবিদ্রূপের ঝলসানো তীর ধনুৃকের ছিলা ছেড়ে সটান বিদ্ধ করে, ডানার প্রান্তদেশ ঝপপটিয়ে পাখি মুখ থুবড়ে পড়ে, শুত্রুষায় আবার ফিরে পায় ডানার তেজ, আকাশে ফেরার গানবাজনা উল্লাস উপেক্ষা করে বাষ্পভরা বেআব্রু দৃষ্টি মেলে নষ্ট নক্ষত্রের মতো অন্ধকার রাজ্যপাটে ঘোরে অযথা পাখি ন্ম হলে বারবার উড়ে এসে আবার ফিরে যেতো মুনষ্য জন্ম বলেই একবার চলে গেলে ফেরে নাতো সহজ কিছুই পারিনি ফিরিয়ে দিতে কেবল অনাদায়ী ঋণ বাড়ে। ** গ্রামীফোন রেকর্ডের দিনে গ্রামোফোন রেকর্ডের লেবেলে সাঁটা কুকুরটার মুখ মন থেকে কিছুতেই সরানো যায় না কেন যেন যখনই কাছে-দূরে কোথাও বেজে ওঠে রিমেক ঠিক চোখের সামনে দাঁড়ায় সত্তর এমপির কালো চাকতির, ছিদ্রটি আর তার চারপাশ ঘিরে জুড়ে দেয়া লেবেলে গলা উঁচিয়ে সারমেয়র চোঙ্গার সামনে- গায়ক যেন সেই বালকবেলা মার্বেল খেলার কালেই বেজে উঠতো গ্রামোফোনের গান আর সমবেত আমাদের উল্লাস, কলের গান বেজে চলে আমরা দেখতে পাই ঘুরছে চাকতির সাথে সেই সারমেয়টি- গলায় নেই শিকলের দাগ।
×