ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উ বা চ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

উ বা চ

বেসামাল সরকার! স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি সমাবেশ আর একবার রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়েই বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন তারা জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন বিএনপিকে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘জনপ্রিয়’ দল। তাদের এই বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে সরকার নাকি বেসামাল হয়ে পড়েছে। তারা নানা রকমের কথাবার্তা বলছে, তারা বেসামাল। আজকে তারা খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। কিন্তু সরকারের মুখে ভিন্ন কথা। নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাও রয়েছে দেখা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা কৌশলে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখেছিল অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ২০১৪ সাল এবং আগামী একাদশ নির্বাচন এক নয়। পানি বাংলাদেশের নদীতে অনেক গড়িয়েছে। বেগম জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। বেশি কথায় বাজে কথা স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বারবার যে বেশি কথা বলে, সে বেশি বাজে কথা বলে। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারা দিন বক্তব্য দিতে দিতে সব জায়গায় এক রকম বক্তব্য হয়ে যায়। বক্তব্য দিতে তো ইমপুট (নতুন কোন বিষয়ে ধারণা রাখা) লাগে। নতুন ইমপুট না হলে আমাকে বারবার পুরনো কথা বলতে হয়। এতে তো আমি ফালতু হয়ে যাব। তিনি আরও বলেন, বারবার যে বেশি কথা বলে, সে বেশি বাজে কথা বলে। সব অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের কিংবা তাকে না ডাকার জন্য দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটিকে পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী না আসলে ক্যামেরা আসে না, এই থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এরপরে আমরা শুরু করি, দেখি কয়টা ক্যামেরা আসে। না আসলে কী হবে? সব না আসুক, কেউ না কেউ তো আসবে। ঘুষের রেট বেড়েছে বলেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনীতিবিদরা সারা জীবন সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। আর এই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে আসল বিষয় থেকেও তারা ছিটকে পড়েন। কোন বিষয় আসলেই কেন ঘটেছে তা অধিকাংশ সময়ই আড়ালে থেকে যায়। এতে না সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, না জনগণের কোন লাভ হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন এ্যাডভাইজার সাব বলেছেন বিদ্যুত উৎপাদনে দাম বেড়েছে কীভাবে, যেহেতু বিদ্যুত কর্মচারীদের বেতন বেড়ে গেছে! তাদের বেতন পরিশোধ করার জন্য আমাদের দিতে হবে। আসল কথাটা বলেন নাই, বেতন তো বাড়বেই, ঠিকই আছে। সেই সঙ্গে আপনাদের যে রেট বেড়ে গেছে, ঘুষ খাওয়ার রেট, সেই রেটই তো আসল কারণ। আপনারা বেশি দাম বাড়াবেন, ১৭ হাজার কোটি টাকা পাবে যারা বিদ্যুত বানায়, আর ১৭ হাজার কোটি টাকা আপনারা খাবেন। এই সমস্ত করার জন্য আপনারা যে ষড়যন্ত্র করছেন দেশের মানুষ এগুলো ভাল চোখে দেখে না। যদিও এই কথার একটুও ঠিক না শুধুই রাজনৈতিক বিষয়। এই বিষয় এড়িয়ে সত্যিকার অর্থে কেন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি উচিত নয় বললেই উপকৃত হতো সকলে।
×