ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়া যাচ্ছেন ৩ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়া যাচ্ছেন ৩ ডিসেম্বর

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩ ডিসেম্বর কম্বোডিয়া সফরে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডিয়া সফরে দুইটি চুক্তি ও নয়টি সমঝেতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনদিনের সফর শেষে ৫ ডিসেম্বর তার ফেরার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডিয়া সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, সফরে বেসরকারী বিমান চলাচল ও দুই দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠনের মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত দুটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে নয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে জয়েন্ট ট্রেড কাউন্সিল গঠন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন সহযোগিতা, শ্রম ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ খাত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা, যুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে সহযোগিতা বিষয়ক, মৎস্য ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ক এবং বিনিয়োগ প্রসারে সমঝোতা স্মারক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং রয়্যাল একাডেমি অব কম্বোডিয়া (আরএসি) এর মধ্যে একাডেমিক পর্যায়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সরকারী সফর। সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার রাজার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, এসডিজির মুখ্য সমম্বয়ক, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সদস্য এবং পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, মৎস্য ও পশু সম্পদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা থাকবেন। ২০১৪ সালের ১৬ থেকে ১৮ জুন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফর করেন। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর। দুই দেশ তাদের জাতির পিতার সম্মানে স্ব-স্ব দেশের রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার ‘পার্ক রোড’ রাস্তাটি কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুরূপভাবে কম্বোডিয়ার সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নমপেনের প্রধান সড়কের নামকরণ করবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি সম্পর্ক রয়েছে। সফরকালে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি সেখানে তুলে ধরা হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেসে বলেন, আমরা এবার বৌদ্ধ প্রধান দেশে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা ফেরাতে এ সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক কোন দূতাবাস নেই। সফরে দুই দেশের মধ্যে দূতাবাস খোলার বিষয়েও কথা হতে পারে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুটি আসবে। মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়া। রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে তারাও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। পোপের ঢাকা সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পোপের এ সফর আমাদের জন্য গৌরব ও গর্বের। আমরা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিপদে আছি। পোপের এ সফর আমাদের জন্য আলাদা গুরুত্ব বহন করে। রোহিঙ্গা সঙ্কটে পোপ আমাদের পাশে আছেন বলে আগেই জানিয়েছেন।
×