ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে ৭১ ভাগ গ্রহীতা দুর্নীতির শিকার

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে ৭১ ভাগ গ্রহীতা দুর্নীতির শিকার

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পাসপোর্ট সেবায় সুশানের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাশে (টিআইবি) গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে ৭১ দশমিক ১ ভাগ সেবাগ্রহিতা অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন। এরমধ্যে ৫৪ ভাগ সেবাগ্রহিতা ঘুষ দিচ্ছে, ৩২ দশমিক ৩ ভাগ সেবাগ্রহিতার কাজের ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এছাড়া দশমিক ৬ ভাগ সেবাগ্রহিতার অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র রিসার্চ এ্যান্ড পলিসির এ্যাস্ট্যিান্ট মোঃ আলী হোসেনের গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, বরিশাল পাসপোর্ট অফিসের সেবার নির্ধারিত ফি’র বাইরে গড়ে প্রতি সেবাগ্রহিতার কাছ থেকে ঘুষ স্বরূপ ১৮৫৪ টাকা নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট আবেদনকারীদের মধ্যে ৮৯ দশমিক ৪ ভাগকে গড়ে ৮৯৬ টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। এমনকি পুলিশ প্রতিবেদন প্রণয়নে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) কর্তৃক আবেদনপত্রে অযথা ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা বা ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সঠিক সময়ে পাসপোর্ট বিতরণও করা হচ্ছেনা। সেক্ষত্রে গড়ে আটদিন বিলম্ব হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে আসা সেবাগ্রহিতাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৩ জনকে দালালের সহযোগিতা নিতে হচ্ছে। আর ওই দালালরা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং পুলিশের এসবি’র সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বরিশাল পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালচক্রকে শাস্তির আওতায় আনা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করাসহ ১৩ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) নেতৃবৃন্দ। নওগাঁ পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার প্রকল্প নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩০ নবেম্বর ॥ নওগাঁ পৌরসভায় মোট ৪২ কোটি ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ৬শ’ ৭৪ টাকা ৭৩ পয়সা ব্যয়ে বিভিন্ন সড়ক, ড্রেন নির্মাণ এবং বিদ্যুত সরবরাহ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিপ-৩ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৭শ’ ৭৮ টাকা ৮৩ পয়সা ব্যয়ে দু’টি প্যাকেজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ইউজিপ-৩ এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩শ’ ৯৩ টাকা ৮৩ পয়সা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজ এবং এডিপি ২০১৬-২০১৭-এর আওতায় ১ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ৫শ’ ২ টাকা ৪৪ পয়সা ব্যয়ে ৫টি প্যাকেজের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ইউজিপ-৩ প্রথম পর্যায়ে ২টি প্যাকেজের মধ্যে প্রথম প্যাকেজের আওতায় উকিলপাড়া হতে দুর্গাপুর মাঠ পর্যন্ত ও জনকল্যাণ স্কুল কালভার্ট হতে হুমায়ুনের বটতলী পর্যন্ত ২টি ড্রেন এবং নদীর পাশের্^ সৌন্দর্যবৃদ্ধিসহ আলোকিতকরণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ১৩ লাখ ২৯ হাজার ২১ টাকা ৮৮ পয়সা। দ্বিতীয় প্যাকেজে পৌরসভার ১০টি রাস্তা নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ৭২ লাখ ৭৮ হাজার ৭শ’ ৫৬ টাকা ৫৮ পয়সা।
×