ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তৌহিদুর রহমান ॥ গত ২৬ থেকে ২৮ নবেম্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী ‘দূত’ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কূটনীতিকদের প্রতি প্রবাসীদের কল্যাণ ও স্বার্থ রক্ষায় জোর দেন। বক্তৃতার মধ্যে বেশ কয়েকবার প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে কূটনীতিকদের ভূমিকা রাখতে বলেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি কূটনীতিকদের সঙ্গে চা পান ও মতবিনিময় করেন। মত বিনিময়ের সময়ও প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন। রাস্তা সারতে শুধু মাটি রশিদ মামুন ॥ রাজধানী ঢাকার সব থেকে বাজে রাস্তা কোনটি। একবাক্যেই উত্তর দেয়া যায় বনশ্রী-ডেমরা রোড। রামপুরা ব্রিজ থেকে চিটাগাং রোড যেতে বেশিরভাগ মালবাহী পরিবহন এই রাস্তা ব্যবহার করে। আবার এই রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহনের সংখ্যাও কম নয়। তাকালেই বোঝা যায়, ভাঙ্গাচোরা এই রাস্তা পিচের মুখ দেখেনি বহু দিন। বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা যখন ভীষণ খারাপ হয় তখন কিছু লোকজন এসে মাপজোকের কাজ করেন। রোদ উঠলে তাদের আর কেউ দেখে না। হাওয়া হয়ে যায়। রাস্তা সংস্কার বলতে ট্রাকে করে মাটি এনে দেয়া ছাড়া আর কিছু দেখিনি। এই মেঠোপথ পাড়ি দিয়েই রাতে হাজার হাজার ট্রাক চলে। দিনে হাজার হাজার বাস চলে। বৃষ্টি হলে কাদার বিড়ম্বনা আর রোদে ধূলার। ধূলায় চারপাশ এতটাই আচ্ছন্ন হয় যে- মাঝে মধ্যে রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশের ইউলুপটির মাটি পরিষ্কার করতে ট্রাক দরকার হয়। কিন্তু তারপরও এই রাস্তায় পিচের ছোয়া দিতে কেন এত অনীহা, কেন মাটি দিয়েই সংস্কার করা হয় তার উত্তর মেলে না কারও কাছেই। পদ্মা সেতু ঘিরে রঙিন স্বপ্ন জাহিদুল আলম জয় ॥ ১৮ নবেম্বর ২০১৭, শনিবার। ২৪ ঘন্টার ঝটিকা সফরে খুলনা যাই। আগেও বেশ কয়েকবার গিয়েছি। দু’বার কুষ্টিয়া থেকে ট্রেনে। আরেকবার ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া হয়ে। খুলনা অঞ্চলের মানুষেরা জানেন, এ পথে ঢাকা যেতে সময় লাগে অনেক বেশি। যে কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ঢাকা-খুলনা যাতায়াত করেন মাওয়া ঘাট হয়ে। আগে কোনদিন এ দিক দিয়ে যাইনি। এবার সময় স্বল্পতার কারণে এ রুটে রওনা হই। অবাক ব্যাপার, সবমিলিয়ে পাঁচ ঘণ্টারও কম সময়ে ঢাকা থেকে খুলনা পৌঁছাই। যাত্রাপথে পদ্মা সেতুর কর্মযজ্ঞও কিছুটা চোখে পড়ে। কেন যে এ সেতুকে ঘিরে সবার চোখে রঙিন স্বপ্ন সেটা নিজেও বুঝতে পারলাম! স্বপ্নের সেতুটা হয়ে গেলে খুলনা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জসহ আরও অনেক জেলার মানুষের রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে সহজতর। হবে নতুন কর্মসংস্থান, উন্মোচন হবে উন্নয়নের দ্বার। মাওয়া ঘাট থেকে লঞ্চে পার হওয়ার সময় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাদের সবার চোখেমুখেই রঙিন স্বপ্ন। এই যেমন মাদারীপুরের ব্যবসায়ী জাভেদ হোসেন ব্যবসা করেন ঢাকার গুলিস্তানে। তিনি বলেন, ‘ভাই, এখন মাসে একবার বা দুইবার গ্রামে যাই। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে ইচ্ছা করলে বাড়ি থেকেও ঢাকা আসা-যাওয়া করতে পারব।’ গোপালগঞ্জের ফরিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সবাই যে কতটা খুশি তা বোঝাতে পারব না। আমাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই এ অসাধ্য সাধন হচ্ছে। [email protected]
×